Dhaka ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৬ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো ধোনি বাহিনীকে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৪৬ Time View

প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ফিল্ডিং নেন চেন্নাই ক্যাপ্টেন এমএস ধোনি। কিন্তু এবার আর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বোলাররা। যার ফলে শারজায় প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালস ২০ ওভারে করল ৭ উইকেটে ২১৬ রান। যা এখনও পর্যন্ত এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। একইসঙ্গে ১৬ রানের জয় নিয়ে আইপিএল শুরু করল স্মিথের দল।

জবাব দিতে নেমে ১১৪ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে চেন্নাই। ওই অবস্থায় ক্রিজে এসে একেবারেই অলৌকিক ছাড়া তেমন কিছুই করার ছিল ক্যাপ্টেন কুল খ্যাত ধোনির। প্রতি ওভার শেষেই বাড়তে থাকে আস্কিং রেট। সঙ্গী হিসেবে গোটা কয়েক ছক্কা হাঁকিয়ে কিছুটা হলেও চেষ্টা করেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস।

১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে সাত ছক্কা আর মাত্র একটি চারে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭২ রান করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। কেননা, উল্টো প্রান্তে যে ফিনিশার হতে পারেননি ধোনি? ৩১ বলে দুজনের ৬৫ রানের জুটিতে যে ধোনির যোগান ১২ বলে মাত্র ৯!

আসলে এখানেই হেরে যায় চেন্নাই। কেননা, ফ্যাফ যখন ফিরলেন তখনই তো ৮ বলে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৩৮ রান। শেষ ওভারে গিয়ে ধোনি পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকালেও তা দর্শককে কিছুটা হলেও বিনোদন দিতে পারলেও মন ভরেনি সমর্থকদের। ৬ উইকেট হারিয়ে সই ২০০ রানে থামে চেন্নাই সুপার কিংস। ফলে ১৬ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ধোনি বাহিনীকে।

এদিন শারজার এ পিচে ঘাস ছিল না। বল পড়ে ধীরে আসছিল। কিন্তু স্টিভ স্মিথ ও সঞ্জু স্যামসনকে থামাতে পারেননি চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ফিরে যাওয়ার পরে রানের গতি বাড়ানোর কাজ করেন স্মিথ ও সঞ্জু। মাত্র ১৯ বলে পঞ্চাশ রান করেন স্যামসন। শেষে ৩২ বলে ৭৪ রানে তিনি ফেরেন এনগিডির বলে।নটি ছক্কা মারেন তিনি।

সঞ্জু ফেরার পরে রাজস্থানের ইনিংস টানার কাজ করেন স্মিথ। ৪৭ বলে ৬৯ রান করেন তিনি। স্মিথ ফিরে যাওয়ার পরে এক সময়ে মনে হয়েছিল দুশো পেরোতে পারবে না রাজস্থান। কিন্তু শেষ ওভারে এনগিডি জঘন্য বোলিং করেন। তাঁর ওভারে আসে এবারের আইপিএল সর্বোচ্চ ৩০ রান। চারটি ছক্কা মারেন জোফ্রা আর্চার। ৮ বলে ২৭ রান করেন তিনি। আর এতেই রাজস্থানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৭টি ছক্কায়।

টস জিতে এদিন প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। রাজস্থানকে কম রানে আটকে রাখাই ছিল তাঁর পরিকল্পনা। কিন্তু পাহাড় ডিঙোতে হবে ধোনির দলকে। আগের ম্যাচে অম্বতি রায়ুডু নজর কেড়েছিলেন।কিন্তু পুরোদস্তুর ফিট না থাকায় এ দিন তাঁকে ছাড়াই মাঠে নামে চেন্নাই। রুতুরাজ গায়কোয়াড় দলে ঢুকছেন।

তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় রাজস্থান। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নজরকাড়া যশস্বী জয়সওয়াল আগের বলেই দীপক চহারকে বাউন্ডারি মারেন।

পরের বলটাও একই রকম ছিল। মারতে গিয়ে সময়ের গোলমাল হয়। উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো ধোনি ক্যাচ ধরার জন্য দৌড়লেও চহারই কল করেন। তিনিই ক্যাচ ধরেন যশস্বীর (৬)। প্রথম উইকেট যাওয়ার পরে স্টিভ স্মিথ ও সঞ্জু স্যামসন রাজস্থানের ইনিংসে গতি আনার কাজ শুরু করেন। প্রথমে সঞ্জু ও স্মিথ পরে আর্চারের জন্য রাজস্থান করল বিশাল ২১৬ রান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

১৬ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো ধোনি বাহিনীকে

Update Time : ০৩:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ফিল্ডিং নেন চেন্নাই ক্যাপ্টেন এমএস ধোনি। কিন্তু এবার আর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বোলাররা। যার ফলে শারজায় প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালস ২০ ওভারে করল ৭ উইকেটে ২১৬ রান। যা এখনও পর্যন্ত এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। একইসঙ্গে ১৬ রানের জয় নিয়ে আইপিএল শুরু করল স্মিথের দল।

জবাব দিতে নেমে ১১৪ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে চেন্নাই। ওই অবস্থায় ক্রিজে এসে একেবারেই অলৌকিক ছাড়া তেমন কিছুই করার ছিল ক্যাপ্টেন কুল খ্যাত ধোনির। প্রতি ওভার শেষেই বাড়তে থাকে আস্কিং রেট। সঙ্গী হিসেবে গোটা কয়েক ছক্কা হাঁকিয়ে কিছুটা হলেও চেষ্টা করেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস।

১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে সাত ছক্কা আর মাত্র একটি চারে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭২ রান করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। কেননা, উল্টো প্রান্তে যে ফিনিশার হতে পারেননি ধোনি? ৩১ বলে দুজনের ৬৫ রানের জুটিতে যে ধোনির যোগান ১২ বলে মাত্র ৯!

আসলে এখানেই হেরে যায় চেন্নাই। কেননা, ফ্যাফ যখন ফিরলেন তখনই তো ৮ বলে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৩৮ রান। শেষ ওভারে গিয়ে ধোনি পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকালেও তা দর্শককে কিছুটা হলেও বিনোদন দিতে পারলেও মন ভরেনি সমর্থকদের। ৬ উইকেট হারিয়ে সই ২০০ রানে থামে চেন্নাই সুপার কিংস। ফলে ১৬ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ধোনি বাহিনীকে।

এদিন শারজার এ পিচে ঘাস ছিল না। বল পড়ে ধীরে আসছিল। কিন্তু স্টিভ স্মিথ ও সঞ্জু স্যামসনকে থামাতে পারেননি চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ফিরে যাওয়ার পরে রানের গতি বাড়ানোর কাজ করেন স্মিথ ও সঞ্জু। মাত্র ১৯ বলে পঞ্চাশ রান করেন স্যামসন। শেষে ৩২ বলে ৭৪ রানে তিনি ফেরেন এনগিডির বলে।নটি ছক্কা মারেন তিনি।

সঞ্জু ফেরার পরে রাজস্থানের ইনিংস টানার কাজ করেন স্মিথ। ৪৭ বলে ৬৯ রান করেন তিনি। স্মিথ ফিরে যাওয়ার পরে এক সময়ে মনে হয়েছিল দুশো পেরোতে পারবে না রাজস্থান। কিন্তু শেষ ওভারে এনগিডি জঘন্য বোলিং করেন। তাঁর ওভারে আসে এবারের আইপিএল সর্বোচ্চ ৩০ রান। চারটি ছক্কা মারেন জোফ্রা আর্চার। ৮ বলে ২৭ রান করেন তিনি। আর এতেই রাজস্থানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৭টি ছক্কায়।

টস জিতে এদিন প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। রাজস্থানকে কম রানে আটকে রাখাই ছিল তাঁর পরিকল্পনা। কিন্তু পাহাড় ডিঙোতে হবে ধোনির দলকে। আগের ম্যাচে অম্বতি রায়ুডু নজর কেড়েছিলেন।কিন্তু পুরোদস্তুর ফিট না থাকায় এ দিন তাঁকে ছাড়াই মাঠে নামে চেন্নাই। রুতুরাজ গায়কোয়াড় দলে ঢুকছেন।

তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় রাজস্থান। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নজরকাড়া যশস্বী জয়সওয়াল আগের বলেই দীপক চহারকে বাউন্ডারি মারেন।

পরের বলটাও একই রকম ছিল। মারতে গিয়ে সময়ের গোলমাল হয়। উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো ধোনি ক্যাচ ধরার জন্য দৌড়লেও চহারই কল করেন। তিনিই ক্যাচ ধরেন যশস্বীর (৬)। প্রথম উইকেট যাওয়ার পরে স্টিভ স্মিথ ও সঞ্জু স্যামসন রাজস্থানের ইনিংসে গতি আনার কাজ শুরু করেন। প্রথমে সঞ্জু ও স্মিথ পরে আর্চারের জন্য রাজস্থান করল বিশাল ২১৬ রান।