ক্রিড়া ডেস্ক :
প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালেই প্রতিবেশী দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। তাতেই লেগে গেল বিপত্তি। কার দেওয়া বলে খেলা হবে এ নিয়ে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের সে কী বিতর্ক!
আয়োজক উরুগুয়ে বলছে, আমাদের বল দিয়ে খেলো। কিন্তু আর্জেন্টিনা রাজি হবে কেন? উরুগুয়ের বলে উরুগুয়েই তো সুবিধা পাবে। শেষে রফা হলো,—দুই অর্ধে খেলা হবে দুই দলের বল দিয়ে!
এতক্ষণে বুঝে যাওয়ার কথা কোন বিশ্বকাপের কথা বলা হচ্ছে। ১৯৩০ বিশ্বকাপ, যে আসর দিয়ে এই পৃথিবীর সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ক্রীড়া আসরের যাত্রা শুরু।
এত আগের বিশ্বকাপের কথা হঠাৎ করে কেন আসছে? কারণ আর ৯ বছর পর সেই বিশ্বকাপটির শতবর্ষপূর্তি। এটি আবার বিশ্বকাপেরও বছর। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ২০৩০ সালের এই বিশ্বকাপটির যৌথ আয়োজক হতে চাইছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে।
অবশ্য শুধুই প্রথম বিশ্বকাপের স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার ‘রোমান্টিক’ অনুভূতির চেয়ে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের আরেকটি উদ্দেশ্যও আছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটু ঠান্ডা হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক সম্পর্কটাকে আবারও একটু উষ্ণ করে নেওয়া। আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট মরিসিও মাক্রিও বললেন সেটিই, ‘সম্পর্ক জোরদার করার জন্য যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রার্থী হওয়ার চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না।’
এখন ফিফা দক্ষিণ আমেরিকান এই দুই দেশের চাওয়াটাকে পূর্ণতা দিলেই হয়। ২০২২ পর্যন্ত বিশ্বকাপের আয়োজক ঠিক করা আছে। এরপর ঠিক করা হবে ২০২৬ ও ২০৩০ বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে ব্রাজিলের সূত্রে দক্ষিণ আমেরিকা এর আয়োজক হয়েছিল। ফিফার আবর্তন-নীতি মেনে আবারও তিন আসর পর বিশ্বকাপ ফিরতেই পারে সেই মহাদেশে, যেখানে মানুষ অক্সিজেনের বদলে ফুটবল নিয়েই বাঁচে!
সূত্র: এএফপি