রাজধানীর হাতিরপুলের একটি বাসায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক দম্পতির মধ্যে ডা. রাজিব ভট্টাচার্য (৩৬) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে আটটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তিনি মারা যান। 

গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দিনগত রাত ১টার দিকে বাসার হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুনে ডা. রাজিব দম্পতি দগ্ধ হন। তার স্ত্রী ডা. অনূসূয়া ভট্টাচার্য দগ্ধ অবস্থায়  শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, রাজিবের শরীরের ৮৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। তবে তার অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। তার স্ত্রীর শরীরেরও ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর।

ওই সময় দগ্ধ রাজিবের বন্ধু ডা. সুদীপ দে জানিয়েছিলেন, রাজিব ও অনুসূয়া হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজার পেছনের একটি বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়া থাকতেন। রাজিব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আর তার স্ত্রী শ্যামলী সেন্ট্রাল মেডিক্যাল চক্ষু বিভাগের রেজিস্ট্রার।

তাদের একমাত্র মেয়ে রাজশ্রী ভট্টাচার্য (৫) কুমিল্লার দেবীদ্বারে দাদা বাড়িতে রয়েছে তিন সপ্তাহ ধরে।

রাজিবের বন্ধু ডা. সুদীপ দে আরও বলেছিলেন, ওই রাতে বাসায় রাজিব একটি বড় বোতল থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছোট বোতলে ঢালছিলেন। তখন স্যানিটাইজার পড়ে গেলে মুখে সিগারেট অথবা মশার কয়েলের আগুনের সংস্পর্শে তার শরীরে আগুন লেগে যায়। তা দেখে তার স্ত্রী সম্ভবত তাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও দগ্ধ হন। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাদেরকে উদ্ধার করে ওই রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে