ক্রীড়া ডেস্ক :
চলতি আইপিএলে অন্যতম সেরা ম্যাচ দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। টানটান উত্তেজনা, পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকল ম্যাচের ভাগ্য। জেতা ম্যাচও হেরে বসল পাঞ্জাব কিংস। আর হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতল রাজস্থান রয়্যালস।
মুস্তাফিজ ও তিয়াগির শেষ দুই ওভারের ম্যাজিক্যাল বোলিংয়ের সামনে আর ম্যাচ জিততে পারেনি পাঞ্জাব।
মঙ্গলবার রাতে শেষ ১২ বলে পাঞ্জাবের দরকার ৮ রান। সেখান থেকে ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন মুস্তাফিজ। তাতেই মূলত ঘুরে যায় ম্যাচ, জাগে রাজস্থানের সম্ভাবনা। আর শেষ ওভারে দরকার ৪ রান, বল করতে গেলেন তরুণ পেসার আসেন কার্তিক। তখন ক্রিজে দুই সেট ব্যাটসম্যান। নিকোলাস পুরান আর এইডেন মার্করাম। শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ১ রান, নিলেন ২ উইকেট।
কার্তিকের প্রথম দুই বলে মার্করাম নেন এক রান। তৃতীয় বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন পুরান। পরের বলে কোনো রান নিতে না পারা দিপক হুডা পঞ্চম বলে ক্যাচ দেন উইকেটকিপারকে। শেষ বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ফাবিয়ান অ্যালেন। অবিশ্বাস্য জয়ের উল্লাসে মাতে রাজস্থান।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব কিংস। পাঞ্জাবের জার্সিতে এদিন ৩ ক্রিকেটারের অভিষেক হয়। ঈশান পোড়েল, আদিল রাশিদ এবং এইডেন মার্করাম। শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকে রাজস্থান রয়্যালস। এভিন লুইস-যশস্বী জাসওয়াল ওপেনিং জুটিতে করেন ৫৪ রান। ২১ বলে ৩৬ করেন লুইস।
তবে ব্যর্থ হন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ৪ রানে তাকে আউট করেন ঈশান পোড়েল। ১৭ বলে ঝড়ো ২৫ রান করেন লিভিংস্টোন। ৪৯ রান করেন যশস্বী। মহিপাল লোমরোরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে বড় রান করে রাজস্থান রয়্যালস। ১৭ বলে ৪৩ করেন লোমরোর। ২০ ওভারে ১৮৫ রান করে রাজস্থান রয়্যালস।
পাঞ্জাব বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অর্শদীপ সিং। ৪ ওভারে ৩২ রানে একাই ৫ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। ৩ উইকেট নেন সামি।
১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন মায়াঙ্ক-রাহুল জুটি। রাহুল-মায়াঙ্ক ওপেনিং জুটিতে উঠল ১২০ রান। ৪৯ রান করেন লোকেশ রাহুল। তবে পাঞ্জাব অধিনায়কের বেশ কয়েকটা ক্যাচ ফেলেন রাজস্থানের ফিল্ডাররা। ৪৩ বলে ৬৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস মায়াঙ্কের।
নিকোলাস পুরান আর এইডেন মার্করামের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে আসে ৫৭ রান। কিন্তু ম্যাচের শেষ দুই ওভারে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ও কার্তিক তিয়াগী দুর্দান্ত বোলিং করে রাজস্থান রয়্যালসকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন।
৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক ২০ বছর বয়সী পেসার কার্তিক। অন্যদিকে ২ উইকেট পেতে পারতেন মুস্তাফিজও। কিন্তু তার বলে ক্যাচ পড়েছে দুটি।