হেফাজতে ইসলামের নতুন আমীর নির্বাচিত হয়েছেন জুনায়েদ বাবুনগরী। মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন নূর হোসাইন কাসেমী।

রোববার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসায় আয়োজিত হেফাজতের সম্মেলনে তারা এ দায়িত্ব পান।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন আমীর আহমদ শফীর মৃত্যুর দু মাসের মাথায় সংগঠনটির একটি সম্মেলনে এই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হলো। বাবুনগরী একসময় হেফাজতে ইসলামের সেকেণ্ড-ইন-কমাণ্ড ছিলেন। কিন্তু উত্তরাধিকার নির্বাচন নিয়ে শীর্ষ নেতার সাথে মতবিরোধ দেখা দিলে তাকে পদ ছাড়তে হয়। আহমদ শফির মৃত্যুর আগেই তাদের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।

এক পক্ষে জুনায়েদ বাবুনগরী ও অন্য পক্ষে আহমেদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী তাদের অনুসারীদের নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যান। আজ এক সংবাদ সম্মেলনের পর বাবুনগরীকে আমীর ও নূর হুসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে ১৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। হাটহাজারী মাদ্রাসার এই সম্মেলনে যোগ দেননি আনাস মাদানী ও তার অনুসারীরা।

নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, সকাল দশটার দিকে শুরু হয়ে আড়াইটা পর্যন্ত চলা সম্মেলনে ৬৪ জেলা থেকে হেফাজতে ইসলামের সাড়ে পাঁচশ জন নেতা অংশ নিয়েছেন।

নতুন কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে আনাস মাদানীর অনুসারী মঈনুদ্দিন রুহী গণমাধ্যমকে বলেন, “তারা একতরফাভাবে সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং তাতে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমটির ৬৫ জন নেতাকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। আমরা এই সম্মেলনকে অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ মনে করি। এজন্য আমরা কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি।”

তারা নিজেদেরই হেফাজতে ইসলামের মূল অংশ মনে করেন বলে জানান।

আজিজুল হক ইসলামবাদী অবশ্য বলছেন, “ওনাদের সবাইকে দাওয়াত করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ওনারা দাওয়াত পাওয়ার আগেই হেফাজতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। বিভিন্ন কারণে ওনারা মিটিং-এ হাজির হওয়ার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছেন। সেই কারণেই হয়ত ওনারা মিটিং-এ উপস্থিত হননি। হেফাজতে ইসলামের সম্মেলন সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।”

সম্মেলনে সংগঠনের মোট ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপদেষ্টা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন ২৫ জন, নায়েবে আমির পদে ৩২ জন, যুগ্ম-মহাসচিব পদে সাতজন ও সহকারী মহাসচিব পদে ১৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে