আশরাফুল ইসলাম সুমন, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের বিলদহর বাজার সংলগ্ন নদীর পারে বাঁধ নির্মানের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে কলম ইউনিয়নের পার সাঔল স্কুল সংলগ্ন ও চামারী ইউনিয়নের হোলাইগাড়ি বাজার সংলগ্ন নদী তীরবর্তী এলাকা হুমকির মুখে রয়েছে। এসব স্থানেও বাঁধ নির্মানের দাবি স্থানীয়দের।
প্রতি বছর বন্যা এবং ভাঙ্গনে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে বিলদহর বাজার। অনেক বসতভিটা এবং জমি নদীতে বিলীন হয়ে সর্বস্ব হয়েছে অনেকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছে স্থানীয়রা।
ঐতিহ্যবাহী বিলদহর হাট। প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার এখানে হাট বসে। দুর দুরান্ত থেকে মানুষ এ হাটে আসে। এ হাট কেন্দ্রীক গড়ে উঠেছে বড় বাজার। সপ্তাহে প্রতিদিন বাজারে বিপুল পরিমান মানুষের সমাগম। বর্ষার সময় নৌকা যোগে অনেকে আসে বিলদহর বাজার ও হাটে। সরকারের বিপুল রাজস্ব আয় হয় এ হাট থেকে। হাটের সাথে রয়েছে পোস্ট অফিস, মসজিদ, ব্যাংক এবং বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নদী তীরবর্তী রয়েছে কয়েকটি গ্রাম।
স্থানীয় হাট ইজারাদার আ: মমিন মন্ডল জানান, চলনবিলের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ছুটে আসে এখানে। বর্ষায় শত শত মানুষ প্রতিদিন নৌকা যোগে এ হাটে আসে। প্রতিবছর ভেঙ্গে নদীতে চলে যাচ্ছে। ভাঙ্গনের কারনে বিলদহরের ঐতিহ্য বিলীন হতে চলেছে। এই ঐতিহ্য ফিরে আনতে নদীর পারে বাঁধ নির্মান করা দরকার।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, বিলদহর গ্রাম প্রাচিন গ্রাম। হাটের সুনাম রয়েছে। কিন্তু প্রতিবছর ভেঙ্গে যাওয়ায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে। তাছাড়া বাঁধ না থাকায় নদীর পারে নোংরা আবর্জনায় পরিবেশ দুষন ঘটছে। এজন্য তিনি বাঁধ নির্মান এবং বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি জানান।
উপসহকারী প্রকৌশলী
শামিম আল মামুন জানান, সিংড়া উপজেলা ৪ টি নদীতে ঘেরা। নদী তীরবর্তী এলাকা বিধায় বন্যার সময় পাউবো সার্বক্ষনিক মানুষের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। এবারো বন্যায় কয়েকটি বাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতি হয়েছে।
আমি ইতোমধ্য বিলদহর, হোলাইগাড়ি, সাঔল স্কুল পরিদর্শন করেছি। সেখানে ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মান করা দরকার। এজন্য আমরা উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
চামারী ইউপি চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা জানান, বিলদহর হাট ঐতিহ্যের হাট। ভাঙ্গন রোধ এবং হাটের প্রান ফিরে আনতে হলে বাঁধ নির্মান খুবই জরুরী। মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে কার্যকরী সমাধান পাবো বলে আশা রাখি।