প্রিয়াঙ্কা ব‍্যানার্জী,হুগলি জেলা প্রতিনিধি:

২রা মের পর ভোটের  ফলাফল হিসেবে এই চিত্রই দেখা যায় হুগলি জেলায়। তৃতীয় বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসেন এবং সরকার গঠন করেন। সেই খুশিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সৈনিকরা বিজয় উল্লাস দেখান জায়গায় জায়গায়।

ভোটের ফল বেরোনোর দিন থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক হিংসা। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস এর উপরে কিছুতেই রাশ টানতে পারেনি পুলিস। এদিকে সারা বিশ্ব যখন লড়ছে মারন ভাইরাস করোনার সঙ্গে, সেই সময়ও ঘর ছাড়া হতে বাধ্য হন হুগলি জেলার খানাকুলের অনেক বাসিন্দাই। শুধু মাত্র রাজনৈতিক হিংসার কারণে। অনেককেই ঘর ছাড়তে হয়েছে হামলার আশঙ্কায়। তাদের মধ্যে কেউ বিজেপি কর্মী আবার কেউ বামপন্থী নেতা বা কর্মী। কারও সঙ্গে গ্রাম ছেড়েছে গোটা পরিবারও। শুধু খানাকুলই নয়, ভোটের ফল প্রকাশের পর হামলার আশঙ্কায় গোঘাট , আরামবাগ, তারকেশ্বর, হরিপাল এর মতো এলাকা থেকেও অনেকেই ঘর ছেড়েছেন। যদিও শাসক দল সন্ত্রাসের আভিযোগ অস্বীকার করেছে। জানিয়েছেন এসব বিরোধী দলের চক্রান্ত। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই দলের কর্মী দের উদ্দ্যেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাস নয় শান্তি চাই’।
এদিকে ভোটের ফলাফল এবং সন্ত্রাসের কারণে হুগলির মানুষ একপ্রকার ভুলতেই বসেছিলেন করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার কথা। ভোট পুর্ববর্তী সময় থেকেই লাগামছাড়া জনসমাগম বাড়তে সাহায্য করেছে এই মারন ভাইরাসকে। তার ফলাফল স্বরূপই শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। দেখা যায় অক্সিজেনের হাহাকার, বেডের হাহাকার। একাধিক মানুষ প্রাণ হারান।

যদিও বর্তমানে এই বিশৃঙ্খলা কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিকএর দিকে এগোচ্ছে আসতে আসতে। এখন এক সুস্থ ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি আমারা সবাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে