Dhaka ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • 41

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার (৪ জুন) থেকে । পরদিন ৫ জুন পালিত হবে ইয়াওমে আরাফা বা আরাফা দিবস। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর ৪ জুন থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালত।

হজের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হিসেবে হজযাত্রী আগামীকাল ইহরাম বেঁধে মিনায় যাবেন। সেখানে পুরো সময় আমল ইবাদতে কাটাবেন তারা।

হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন সুন্নত।

মিনায় অবস্থানে পুরোটা সময় হাজিরা তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকেন। এখানে অবস্থানের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। অল্প সময়ও জিকির-আজকার থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। তাই জিকির ও ইবাদতে মগ্ন থাকা মিনার অত্যন্ত জরুরি আমল। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

এখানে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। প্রত্যেক তাঁবুর আলাদা নম্বর দেওয়া। তাঁবুর সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এখানে হাজিদের এজেন্সির পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশন করা হবে।

মিনার তাঁবুগুলো সারা বছর গুটিয়ে রাখা হয়, তবে ওই সময় সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। মক্কা থেকে আরাফার ময়দানের দিকে যাওয়ার মহাসড়কের পাশে মিনার অবস্থান। পবিত্র কাবা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনা প্রান্তরের আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে

Update Time : ০৯:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার (৪ জুন) থেকে । পরদিন ৫ জুন পালিত হবে ইয়াওমে আরাফা বা আরাফা দিবস। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর ৪ জুন থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালত।

হজের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হিসেবে হজযাত্রী আগামীকাল ইহরাম বেঁধে মিনায় যাবেন। সেখানে পুরো সময় আমল ইবাদতে কাটাবেন তারা।

হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন সুন্নত।

মিনায় অবস্থানে পুরোটা সময় হাজিরা তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকেন। এখানে অবস্থানের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। অল্প সময়ও জিকির-আজকার থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। তাই জিকির ও ইবাদতে মগ্ন থাকা মিনার অত্যন্ত জরুরি আমল। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

এখানে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। প্রত্যেক তাঁবুর আলাদা নম্বর দেওয়া। তাঁবুর সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এখানে হাজিদের এজেন্সির পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশন করা হবে।

মিনার তাঁবুগুলো সারা বছর গুটিয়ে রাখা হয়, তবে ওই সময় সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। মক্কা থেকে আরাফার ময়দানের দিকে যাওয়ার মহাসড়কের পাশে মিনার অবস্থান। পবিত্র কাবা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনা প্রান্তরের আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার।