করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীতে কোরবানির হাট না বসানোর পরামর্শ দিয়েছিল করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এরপরও দুই সিটিতে ১৭টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয়েছে। আছে দুটি স্থায়ী পশুর হাটও। কিন্তু কোনও হাটেই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ন্যূনতম পদক্ষেপও দেখা যাচ্ছে না। পশুর হাটগুলোতে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পোস্তগোলা, গোপীবাগ বালুর মাঠ, সাঈদনগর ও গাবতলী পশুর হাটে সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি করপোরেশন নির্ধারিত পশুর হাটগুলোতে এরইমধ্যে কোরবানির পরু তুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা টানতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ইজারাদাররা। তবে হাটগুলোয় এখনও ব্যবসায়ী ও ইজারাদার ছাড়া ক্রেতাদের উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়ছে না।

কিন্তু ক্রেতা, বিক্রেতা কিংবা ইজারাদার যারাই পশুর হাটে আসছেন তাদের কারোরই স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কোনও ভ্রুক্ষেপ দেখা যায়নি। জীবাণুনাশক উপকরণ তো দূরের কথা, বেশিরবাগ ব্যবসায়ীর মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। নেই পশুর হাটের আশপাশে হাত ধোয়ার কোনও ব্যবস্থা কিংবা তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থাও। ইজারাদাররা জানিয়েছেন, হাট জমে উঠলে এসব ব্যবস্থাপনা ঠিক হয়ে যাবে।

পোস্তগোলা, গোপীবাগ বালুর মাঠ, সাঈদনগর ও গাবতলী পশুর হাটে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এখনও হাটগুলো ক্রেতাশূন্য। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা খামারিরা নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ গরুর জন্য খাবার ব্যবস্থা করছেন, কেউ হাটের অবকাঠামো ঠিক করছেন, কেউবা পাশের ব্যবসায়ীর সঙ্গে খোশগল্প করছেন। এভাবেই কাটছে তাদের সময়।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শনিবার ও রবিবার ঢাকার বাইরে থেকে পর্যাপ্ত পশু হাটে ঢুকবে। তবে হাট ক্রেতাশূন্য হলেও কোরবানির পশুর চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এবছর হাটগুলোতে ভারতীয় গরু এখনও চোখে পড়েনি। দেশি গরুই উঠানো হচ্ছে। করোনা নিয়ে ভয় যেটুকুই থাক, চলমান করোনা পরিস্থিতি পশু বিক্রি ও দাম নিয়ে চিন্তায় আছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পশুর হাটের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে উত্তর সিটি করপোরেশন ১০ সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি দিয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটির সদস্যদের তৎপরতা চোখে পড়েছে। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানের কথা বলা হচ্ছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে