স্বাধীনতা
শাহরিনসুলতানা
যুগ যুগ ধরে এই বাংলায়
হাজার হাজার শাসকের ইশারায়
চলিল শাসন শোষনে।
হেরি দরিদ্রের রাজস্ব দান
ধরনী দানিল প্রান
অভাব অনটনে।
রাজার পতন কতো
রক্তমাখা রাজস্বের পতন হলো নাতো!
নবজাতক একাহারী।
নির্ভিক সবুর সীমা ছুঁয়ে
আবারও আসে ধেয়ে
নূতন অত্যাচারি।
কৃষকদেহ মিশিল মৃত্তিকায়
শত শত পল্লী হলো ছাই
রহিমার জুটিল সাদা বস্ত্র।
কামীনি হলো লাঞ্চিত
বাংলার যুব সুত
নিষ্ঠুরতায় মরিল অজশ্র।
মৃতের স্তুপ পথে
মা হারা শিশু আর্তনাদে
হইল ধূলিমাখা।
বন্য পাক সেনা
ফিরি দেখিলে না
বুকে তাহার দুঃখ গাঁথা।
সর্বত্র রোদনে আতঙ্ক
পথের কুকুর দিল সঙ্গ
সেও রহিল তাকে।
বাক স্বাধীনতা অনাধীকারে
শোষন লাভিল ছিঁড়ে
স্বাধীনচেতা অন্যায়।
তাহার বিচারালয়ে
অবিচার বেয়ে
দন্ডে বুলেট গেলায়।
প্রতিবাদের আন্দোলনে
মৌমাছি ছুড়িল অগন্যে
বাংলার পথ নেপিল রাইফেলে।
এমন সময়ে
নবজাগরক হয়ে
মহান কবি
বুকে গেঁথে বাংলার ছবি
ভোরের পাখিরূপ ডেকে
জাগিয়ে অন্তর চেতনাকে
তুমি এলে।
ঐক্য বাংলার ডঙ্কারে
হইল কদাকার
অশুভের বিনাশ
ছোট্ট শিশু পাথর ছুড়ে
মায়ের প্রতিবাদে বার বার
সে তো তোমারি আশ্বাস।
রমনী চক্ষু কোটর করিল খালি ডানে বামে
মৃত্যু সার্থক গুনে তনয়
ওরা ডুবিল পশ্চিমে
পূর্বে হইল উদয়।