Dhaka ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদি আরবে ট্রাকচাপায় বাংলাদেশি তরুণ নিহত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ২০ Time View

জীবিকার তাগিদে পরিবার ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইসহাক সায়েদ (২১)। কিন্তু পরিবারের স্বপ্ন পূরণ না হতেই পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এই তরুণ রেমিট্যান্স যোদ্ধা।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোররাতে দাম্মামে মোটরসাইকেলে করে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে একটি দ্রুতগতির ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন ইসহাক। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত ইসহাক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার আড়াইবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলমের ছেলে এবং হাঙ্গরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

ইসহাকের বাবা খোরশেদ আলম বলেন, সন্তানকে অনেক কষ্ট করে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম সংসার চালানোর জন্য। আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি— আমার ছেলের মরদেহ যেন দ্রুত দেশে আনা হয়। আমি অন্তত নিজের হাতে তাকে দাফন করতে চাই।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম জানান, পরিবার যদি লিখিতভাবে আবেদন করে, তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

সৌদি আরবে ট্রাকচাপায় বাংলাদেশি তরুণ নিহত

Update Time : ০৯:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

জীবিকার তাগিদে পরিবার ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইসহাক সায়েদ (২১)। কিন্তু পরিবারের স্বপ্ন পূরণ না হতেই পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এই তরুণ রেমিট্যান্স যোদ্ধা।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ভোররাতে দাম্মামে মোটরসাইকেলে করে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে একটি দ্রুতগতির ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন ইসহাক। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত ইসহাক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার আড়াইবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলমের ছেলে এবং হাঙ্গরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

ইসহাকের বাবা খোরশেদ আলম বলেন, সন্তানকে অনেক কষ্ট করে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম সংসার চালানোর জন্য। আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি— আমার ছেলের মরদেহ যেন দ্রুত দেশে আনা হয়। আমি অন্তত নিজের হাতে তাকে দাফন করতে চাই।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম জানান, পরিবার যদি লিখিতভাবে আবেদন করে, তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।