বিশেষ প্রতিনিধি বগুড়া:
বগুড়া সোনাতলা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এস এস সি পরিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে।
দেশ জুড়ে নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবেলায় সঠিক সিন্ধান্ত গ্রহন করেন।
এরই পেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে সকল সরকারী ,আধাসরকারী ,স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সিমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেন । ও সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেন,এস এস সি পরিক্ষার্থীদের চলমান ফরম ফিলাপের প্রক্রিয়া ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল, কিন্তু গতকাল সোমবার আন্তশিক্ষা সমন্ময় বোর্ড থেকে জানা গেছে লকডাউনের কারনে তা স্থগিত করা হয়।
তার কোন তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছামতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ফরম ফিলাপের টাকা নেওয়া হয়। যেখানে সরকার নির্ধারিত ফি এর অধিক টাকা গ্রহন করা হচ্ছে। এমনকি প্রত্যেক ছাত্রীদের কাছে থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বেতন নেওয়া হচ্ছে। রাজশাহী বোর্ডের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বোর্ড ফি মানবিক বিভাগে নির্ধারন করা হয় ১৮৮০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৮০ টাকা নির্ধারন থাকলেও এই প্রতিষ্টানে মানবিক বিভাগে প্রত্যোক শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে ২১শত ও বিজ্ঞান বিভাগে ২২শত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় কয়েকজন শিক্ষার্থী ।
বিষয়টি নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি ফি নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
এব্যাপারে সোনাতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজার রহমান জানান,বোর্ড নির্ধারিত ফি এর বাহিরে কোন টাকা নেওয়ার সুয়োগ নেই। এমন কাজ কোন প্রতিষ্ঠান করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।
অপরদিকে একই সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করতে দৈনিক মুক্ত বার্তা সোনাতলা পৌর প্রতিনিধি রেজাউল করিম মানিক এর সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসৎ আচারন করেন।
এব্যাপারে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন সাংবাদিক রেজাউল করিম মানিক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিনের সাথে মোবাইলে কথা বললে । একজন সাংবাদিকের সাথে এহেন আচারনের বিষয়টি বললে তিনি জানান, সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।