রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বার্তায় সেশেলসের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ওভেল জন চার্লস রামকালওয়ানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় স্তরেই সেশেলসের সঙ্গে তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দেয়।
রাষ্ট্রপতি সেশেলসের নতুন প্রেসিডেন্টের আমলে দুই দেশের সাধারণ সমৃদ্ধির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে উভয় দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও বৈচিত্রময় হবে বলে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
তিনি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সকল সাফল্য, সুস্বাস্থ্য ও সুখ কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ওয়েভেল জন চার্লস রামকালাওান এবং তার দলের পক্ষে রায় সেশেলসের জনগণের দ্বারা তার নেতৃত্বের উপর আস্থা এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সেশেলস সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় ক্ষেত্রেই অভিন্ন চেতনা ভাগাভাগি করে। তিনি উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সেশেলসে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের অবদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নামে পরিচিত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের স্বদেশে স্থায়ীভাবে প্রত্যাবর্তনের জন্য সেশেলসর অব্যাহত সহায়তায় ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সেশেলস প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই বছরের ২২ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যে তিন প্রার্থী হয়েছিলেন তারা মধ্যে হলেন- ইউনাইটেড সেশেলস (মার্কিন) এর বর্তমান সভাপতি ড্যানি ফিউর, লিনিয়ন ডেমোক্রেটিক সেলসেলোয়া (এলডিএস) এর বিরোধী নেতা ওভেল জন চার্লস রামকালাওয়ান এবং ওয়ান সেশেলসের আলেন সেন্ট অ্যাঞ্জেল্ট। ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, ওভেল রামকালাওয়ান সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ পেয়ে জয় লাভ করে এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড্যানি ফাউর পায় ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ২৬ অক্টোবর, ২০২০ তারিখে ওয়েভেল রামকালাওয়ান সেশেলস প্রজাতন্ত্রের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।