Dhaka ০৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
পশ্চিমবঙ্গে ভাঙলো আত্রাই নদীর বাঁধ, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে পুলিশের চাকরি ছাড়লেন ৫ এএসপি তিন দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে বরদাশত করা হবে না : ডিএমপি ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে, এনবিআর যেভাবে ভাগ করা হয়েছে, সেরকমই থাকবে: অর্থ উপদেষ্টা সারাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি, কারামুক্ত হয়ে নুসরাত ফারিয়া ইশরাককে মেয়র ঘোষণা না দিলে সব সেবা বন্ধের হুমকি কর্মচারীদের বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফ্লাইট ফিরে গেল কলকাতায়

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পূর্বে যে বিধিনিষেধগুলো অবশ্যই জেনে নিবেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৪৩ Time View

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপটিকে ‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন’ এলাকা ঘোষণা করে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্টমার্টিনের বিরল প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে অধিদপ্তর।

বিধি-নিষেধগুলো হচ্ছে-

– দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যানসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো যাবে না
– দ্বীপের সৈকত, সমুদ্র এবং নাফ নদীতে প্লাস্টিক বা কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না।

– পশ্চিম দিকের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব পার্শ্বের সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে যাওয়া যাবে না।

– দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ করা যাবে না।

– জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটা যাবে না।

– সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা যাবে না।

– সৈকতে রাতের বেলা কোনো ধরনের আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো যাবে না।

– সৈকতে মাইক বাজানো, হৈ-চৈ এবং উচ্চস্বরে গান-বাজনা করা কিংবা বার-বি-কিউ পার্টি করা যাবে না।

– ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে স্পিডবোট, কান্ট্রি বোট, ট্রলার বা অন্যান্য জলযানে যাতায়াত এবং নোঙর করা যাবে না।

– সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত ছেঁড়াদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ করা যাবে না।

– প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।

–  জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো যাবে না।

– দ্বীপে সুপেয় ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ সীমিত বিধায় পানির অপচয় রোধ করতে হবে।

সর্বোপরি সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে ভ্রমণকারীসহ সবাইকে।

এসব বিধি-নিষেধের লঙ্ঘন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

পশ্চিমবঙ্গে ভাঙলো আত্রাই নদীর বাঁধ, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে

সেন্টমার্টিন যাওয়ার পূর্বে যে বিধিনিষেধগুলো অবশ্যই জেনে নিবেন

Update Time : ০৩:৪৩:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপটিকে ‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন’ এলাকা ঘোষণা করে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্টমার্টিনের বিরল প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে অধিদপ্তর।

বিধি-নিষেধগুলো হচ্ছে-

– দ্বীপের সৈকতে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যানসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন চালানো যাবে না
– দ্বীপের সৈকত, সমুদ্র এবং নাফ নদীতে প্লাস্টিক বা কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না।

– পশ্চিম দিকের সৈকতে কোনাপাড়ার পর দক্ষিণ দিকে এবং পূর্ব পার্শ্বের সৈকতে গলাচিপার পর দক্ষিণ দিকে যাওয়া যাবে না।

– দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ করা যাবে না।

– জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটা যাবে না।

– সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা, রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা যাবে না।

– সৈকতে রাতের বেলা কোনো ধরনের আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো যাবে না।

– সৈকতে মাইক বাজানো, হৈ-চৈ এবং উচ্চস্বরে গান-বাজনা করা কিংবা বার-বি-কিউ পার্টি করা যাবে না।

– ছেঁড়াদিয়া দ্বীপে স্পিডবোট, কান্ট্রি বোট, ট্রলার বা অন্যান্য জলযানে যাতায়াত এবং নোঙর করা যাবে না।

– সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত ছেঁড়াদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ করা যাবে না।

– প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না।

–  জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ানো যাবে না।

– দ্বীপে সুপেয় ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ সীমিত বিধায় পানির অপচয় রোধ করতে হবে।

সর্বোপরি সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে ভ্রমণকারীসহ সবাইকে।

এসব বিধি-নিষেধের লঙ্ঘন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।