Dhaka ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেছে শতাধিক বাড়ি, দ্বীপের চারপাশে ভাঙন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • 29

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে দ্বীপের চারপাশে। এছাড়া জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে সেন্টমার্টিনের অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। সাগরের পানির ঢেউয়ের আঘাতে ঘাটে নোঙরে থাকা বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির পর বৈরী আবহাওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি চার-পাঁচ ফুট বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া, দক্ষিণপাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, রাতে বাতাস একটু কমলেও হোটেল-মোটেলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। এছাড়া বিএন স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) ভোররাতে আবারও ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। অব্যাহত রয়েছে ভারী বর্ষণ।

অপরদিকে, গত চারদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপের মানুষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বীপের মানুষের খারাপ সময় যাচ্ছে। তার ওপর ঝোড়ো বাতাস ও সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বেড়েছে। ফলে সাগরের তীরে থাকা কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকেছে। এতে দ্বীপের চারদিকে ভাঙন ধরেছে। এখনো অনেক বাড়িঘর পানিবন্দি হয়ে আছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানি সেন্টমার্টিন দ্বীপের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ঘাটে নোঙরে থাকা মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে আতঙ্কের কিছু নেই, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধিরা সবাই একযোগে কাজ করছেন। কোনো ধরনের সমস্যা হলে লোকজন সরিয়ে এনে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। এখনো লোকজনকে সরিয়ে আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

ইউএনও আরও বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত চারদিন সেন্টমার্টিনে পণ্যবাহী ট্রলারগুলো যেতে পারেনি। ফলে, খাদ্য সংকটের দিকে যাচ্ছে সময়। আবহাওয়া স্বাভাবিকের দিকে গেলেই দ্রুত পণ্যবাহী ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিনে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেছে শতাধিক বাড়ি, দ্বীপের চারপাশে ভাঙন

Update Time : ০৫:১৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের প্রবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে দ্বীপের চারপাশে। এছাড়া জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে সেন্টমার্টিনের অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। সাগরের পানির ঢেউয়ের আঘাতে ঘাটে নোঙরে থাকা বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম জানান, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির পর বৈরী আবহাওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি চার-পাঁচ ফুট বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া, দক্ষিণপাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, রাতে বাতাস একটু কমলেও হোটেল-মোটেলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়। এছাড়া বিএন স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) ভোররাতে আবারও ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। অব্যাহত রয়েছে ভারী বর্ষণ।

অপরদিকে, গত চারদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপের মানুষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বীপের মানুষের খারাপ সময় যাচ্ছে। তার ওপর ঝোড়ো বাতাস ও সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বেড়েছে। ফলে সাগরের তীরে থাকা কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকেছে। এতে দ্বীপের চারদিকে ভাঙন ধরেছে। এখনো অনেক বাড়িঘর পানিবন্দি হয়ে আছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানি সেন্টমার্টিন দ্বীপের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ঘাটে নোঙরে থাকা মাছ ধরার ট্রলার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে আতঙ্কের কিছু নেই, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধিরা সবাই একযোগে কাজ করছেন। কোনো ধরনের সমস্যা হলে লোকজন সরিয়ে এনে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। এখনো লোকজনকে সরিয়ে আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

ইউএনও আরও বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত চারদিন সেন্টমার্টিনে পণ্যবাহী ট্রলারগুলো যেতে পারেনি। ফলে, খাদ্য সংকটের দিকে যাচ্ছে সময়। আবহাওয়া স্বাভাবিকের দিকে গেলেই দ্রুত পণ্যবাহী ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিনে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছি।