সুশান্ত সিং রাজপুত কখনও মাদকের নেশা করতেন না। ​মদ্যপানও করতেন না অভিনেতা। ​প্রয়াত অভিনেতার মৃত্যুর পর এমনই দাবি করেন সুশান্তের প্রাক্তন কর্মী অঙ্কিত আচার্য। ​ অঙ্কিতের ওই দাবির পর এবার পালটা দাবি করলেন সুশান্তের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী মুস্তাক। ​

মুস্তাক দাবি করেন, ব্যক্তিগত পার্টির মধ্যে গাঁজা, চরসের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন সুশান্ত। ​ অভিনেতার বন্ধুরাও তাঁর সঙ্গে যোগ দিতেন নেশার সময়। ​ নিজের বাড়িতেই ব্যক্তিগত পার্টির আয়োজন করতেন সুশান্ত। ​ ওই সব পার্টির মধ্যেই সুশান্ত তাঁর বন্ধুদের নিয়ে গাঁজা, চরসের আসর বসাতেন বলে দাবি করেন মুস্তাক।

গাঁজা, চরসের নেশার পিছনে সুশান্ত অনেক অর্থ ব্যায় করতেন বলেও দাবি করেন মুস্তাক। ​পাশাপাশি সুশান্ত যখন বাড়ির বাইরে বের হতেন, তখন গাড়ির মধ্যে কোনও নেশার জিনিস রাখতেন না।  গাড়ি যাতে ভালভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া হয়, দেওয়া হত সেই নির্দেশ। ​

গাঁজা, চরসের অত্যধিক নেশার জেরেই সুশান্তের মানসিক অবস্থা টালমাটাল হয়ে থাকত বলেও অভিযোগ করেন তাঁর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী। ​ তিনি বলেন, সুশান্তের মুডের উপর নির্ভর করে অনেক সময় শ্যুটিংয়ের সময় ঠিক করা হত। ​ অনেক সময় শ্যুটিং স্পটে গিয়ে অনেকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে দিতেন তিনি। ​ ফলে অকারণ শ্যুটিং বন্ধ করে দেওয়া হত বলেও অভিযোগ করেন মুস্তাক।

শুধু তাই নয়, সুশান্তের আরও কী কী অভ্যেস ছিল, তা তিনি প্রকাশ্যে বলতে পারবেন না বলে দাবি করেন মুস্তাক। ​ সুশান্তের বিরুদ্ধে কিছু বললে, তাঁর কুশপুতুল দাহ করা হতে পারে, সেই ভয়ে তিনি অনেক কিছুই প্রকাশ্যে বলতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি।

প্রসঙ্গত, রিয়া চক্রবর্তী স্যমাুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্তদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সুশান্তকে নিষিদ্ধ মাদক দিতেন। ​এমনই অভিযোগ করা হয়েছে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের তরফে। ​ রিয়াকে খুনি বলেও দাবি করেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। ​

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে