সুবীর মণ্ডল, বাঁকুুুড়া জেলা প্রতিনিধি:
গতকাল ভারতরত্ন ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ের স্মরণে জাতীয় স্তরে দেশের সকল ডাক্তারবাবুদের কে বিশেষ সম্মাননা জানানোর দিন ছিল।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম সাহেবখালীর রায় পাড়াতে দীর্ঘ পঁচিশ বছরের বেশি সময় ধরে সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও রবিবার সুন্দরবনের গ্ৰামের মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন ডাক্তার অরুনোদয় মন্ডল। সুন্দরবনের মানুষের প্রতি সুগভীর দায়বদ্ধতা। জীবনের প্রান্তসীমায় এসেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে কলকাতা থেকে গিয়ে আর্ত-পীড়িত মানুষের সেবায় নিয়োজিত করেছেন নিজেকে। আসলে শিকড়ের প্রতি মমত্ববোধ। এই সুন্দরবনের জনপদ ভূমিতে কেটেছে তাঁর সোনালি শৈশব আর স্বপ্নপূরণের লড়াই।সাফল্য তাকে অহংকারী করে তোলেনি। ইয়াসের তাণ্ডবলীলায় বিধ্বস্ত সুন্দরবনের জনপদ ভূমি। আশ্রয়হীন মানুষ, অসহায় শিশু আর মায়েরা। এই মোহময় দুঃসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সাধারণ মানুষের সেবা করে চলেছেন ৭০ বছরের তরুণ ডাক্তার অরুণোদয় মণ্ডল। এ-এক অনন্য নজির রেখে চলেছেন । সুন্দরবনের আগামী প্রজন্মের ভাবী ডাক্তার কূলকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। ১৯৫৩ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্ৰহণ করেন চাঁড়ালখালী গ্ৰামে, পরবর্তীতে কলকাতায় বসবাস শুরু। ১৯৭৯ সালে এমবিবিএস পাশ করার পর জনসেবায় নিয়োজিত। ‘সুজন’ নামে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান আজ বহু মানুষের ভরসাস্থল। গত ২০২০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করেছেন। আজ সুন্দরবনের এমন ডাক্তারবাবুর দৃষ্টান্ত আরো আরো ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্রই । সুন্দরবনও পারে এমন রত্নমানুষ কে আঁকড়ে ধরতে, আরো অনেক অরুণোদয় মণ্ডলের জন্ম হোক সব দিক থেকে উপেক্ষিত সুন্দরবনে। সুন্দরবনের মানুষের কাছে উনি এক আকাশ অহংকার।