আশরাফুল ইসলাম সুমন, সিংড়া:
নাটোরের সিংড়ায় প্রাণীসম্পদ অফিসের আওতায় প্রকল্পের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার (এলএসপি) কে মারধর করেছে হালিম মো. হাসমত নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি সিংড়ার সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বামিহাল রহমত ইকবাল অনার্স কলেজের প্রভাষক। করোনার সময় খামারীদের দেয়া প্রণোদনা তালিকায় নাম না থাকায় তাকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিংড়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসারের কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলার সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম মো. হাসমতকে আটক করেছে সিংড়া থানা পুলিশ। মারধরের শিকার সুকাশ ইউনিয়ন এলএসপি শ্রী কৃষ্ণচন্দ্রকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে সুকাশের বেলগাড়ী গ্রামের শ্রী গোবিন্দের পুত্র। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কথা হয় তার সাথে। এসময় তিনি বলেন, দুপুরে প্রাণীসম্পদ অফিসে একটি সভা চলাকালীন সময়ে সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম মো. হাসমত তাঁকে মুঠোফোনে বাহিরে আসতে বলে। সে বাহিরে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা হাসমত, ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বর ও ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মাহাবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিন্টু, ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি মঞ্জু তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং মারধর করে। কেন মারধর করা হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারের প্রণোদনার ক্যাটাগরির মধ্যে সে পরেনা, তাই তার নাম দেয়া হয়নি। এজন্য সে তাঁকে মারধর করে। মারধরের ঘটনায় তাৎক্ষণাত উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা হাসমতকে আটক করে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. এম. এম. খুরসিদ আলম জানান, থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বিপিএম জানান, প্রাণীসম্পদ অফিসের কর্মীকে মারধরের অভিযোগে হাসমতকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।