সিংড়া(নাটোর) প্রতিনিধিঃ

নাটোরের সিংড়ায় মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি ও ছোট চৌগ্রামের মৃত ইয়াকিনের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক খান।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যালয় বরাবর একই গ্রামের মজনু ওরফে মজেম আলীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখে নারদ বার্তা ও বিভিন্ন অনলাইন এবং সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ”সিংড়ায় আ.লীগে নেতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ” শিরোনামের সংবাদটির প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সোমবার সকাল ১১টায় চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন,প্রকাশিত সংবাদে আমাকে জড়িয়ে মুক্তযুদ্ধের সময় হত্যা,লুটপাট,ভাংচুর সহ মানবতাবিরোধী যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে এবং সামাজিক ভাবে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যেই আমার জন্মস্থান ছোট চৌগ্রামের মজনু ওরফে মজেম আলী সহ আমার প্রতিপক্ষ এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। প্রকৃত পক্ষে আমার জন্ম ১৯৫৫ সালের ১৫ নভেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ১৫ বছর। আমি ওই সময়ে একজন নাবালক ও কিশোর বালক ছিলাম। এই বয়সে রাজাকার হওয়ার কোন প্রশ্নই উঠেনা। অথচ অভিযোগকারী মজনু বলেছে আমি আব্দুর রাজ্জাক একাত্তর সালের একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার। অথচ অভিযোগকারী মজনুর জন্ম ১৯৬৩ সালের ২০ জুলই। মুক্তযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর কয়েক মাস। এই ৭ বছর শিশু বয়সে তার অভিযোগের সত্যতা কতটুকু সত্য সচেতন মহলই বিচার করবেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগকারী মজনু ওরফে মজেম আলী নিজেই একজন নেশা খোর,চোর-ডাকাত ও সন্ত্রাসী হিসাবে এলকায় চিহ্নিত। ২০০১ সালে হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে গিয়েছিল। ১৯৯২ সালে তেল চুরি অভিযোগে স্থানীয় সামাজিক বিচারে শাস্তি হয় তার। ২০০২ সালে গুরুদাসপুরে এক জেলে ছোট ও বড় চৌগ্রামের খালে খড়া জাল ফেলে মাছ ধরাকালীন সময়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে তার খড়াজাল ছিনতাই করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় গাঁজা সেবন সহ চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অসংখ্য অভিযোগ ও মামলার রেকর্ড আছে।

আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন,আমি একজন আ.লীগ পরিবারের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ। কোন দিনও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলাম না এখনও নাই। তিনি বলেন, আমি একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি। ১৯৮৩ সালে বিপুল ভোটে চৌগ্রামের ২নং ওর্য়াডের মেম্বর র্নিবাচিত হই। এই ওর্য়াড থেকেই ১৯৯২ সালে পুনঃরায় মেম্বর র্নিবাচিত হই। এর পরবর্তী সময়ে চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করি। আমি বর্তমান সিংড়া উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি ও নাটোর জেলা আ.লীগের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছি। আমার র্দীঘ দিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন ও হেয় প্রদিপন্ন করার লক্ষেই আমার প্রতিপক্ষ এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে। আমি এই ভিত্তিহীন অভিযোগের সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করছি সেই সাথে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, চৌগ্রাম ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুবক্কর সিদ্দিক,হিন্দু ঐক্য পরিষদের চৌগ্রাম ইউনিয়ন শাখার সভাপতি বলরাম হাওলদার ও সাধারণ সম্পাদক মনজকুমার লাহেরী, ইউনিয়ন পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিতোষ কুমার,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক,ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইসাহক আলী পান্না, ৫নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মোকাদ্দেছ আলী সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে