Dhaka ১১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিংড়ায় আঃ জোব্বারের উদ্যোগে তাজপুর ব্রীজে আটকে থাকা কচুরী পানা অপসারণ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৯৯ Time View

 

আশরাফুল ইসলাম সুমন,সিংড়া,নাটোর:
নাটোরের সিংড়া তাজপুর ব্রীজে প্রায় ১৫ দিন ধরে আটকে থাকা কচুরী পানার স্তুপের কিছু অংশ অবশেষে আব্দুল জোব্বারের উদ্যোগে অপসারণ করা হয়েছে। আব্দুল জোব্বার ওই এলাকার কমরপুর গ্রামের অধিবাসী এবং তাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী। ব্রীজের মোট ৫টি মুখের মধ্যে উত্তর পাশের ২ টি এবং দক্ষিন পাশের ১ টির মুখে কচুরী পানার স্তুপ অপসারণ করার কারনে নদীর পানি দ্রুত নামতে শুরু করেছে। এতে জলাবদ্ধতার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেল তাজপুর খড়সতি,নওগাঁ  ,চক নওগাঁ,জয়নগর চক তাজপুর ভাদুরী পাড়া,কমরপুর মাহমুদপুর সহ ৫ থেকে ৭ গ্রামের মানুষ। আব্দুল জোব্বার গত শনিবার থেকে ৪ দিন দিন ব্যাপী প্রতিদিন ৪ শত টাকা দিন হাজিরায় ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক নিয়োগ করে এই কচুরী পানা অপসারণ করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন ব্রীজে হঠাৎ কচুরী পানার এক বিশাল স্তুপ আটকে যায়। পরে এই কচুরী পানার স্তুপ নাগর নদীর প্রায় ২ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে বিস্তার লাভ করে। ব্রীজের মুখে আটকে থাকা কচুরী পানার স্তুপে নদীর পানি নামতে বাধাগ্রস্থ হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মাঠের রোপা ধান ডুবতে শুরু করে। এলাকার মানুষ আতংকে দিশে হারা হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আরও জানান, এমন বিপদেরমুখে তাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল জোব্বার দ্রুত শ্রমিক নিয়োগ করে ইতমধ্যে ব্রীজের ৫ টি মুখের মধ্যে উত্তর পাশের ২টি এবং দক্ষিন পাশের ১টি মুখে আটকে থাকা কচুরী পানার স্তুপ অপসারণ করেছেন। এতে নদীর পানি দ্রুত নামতে শুরু করেছে। নদীর জলাবদ্ধতার ৫০% পানির চাপ কমেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল জোব্বার বলেন,আমি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এড জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে ৫ গ্রাম থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে আজ মঙ্গলবার ৪ দিন ধরে এই কাজ করছি। এখন কিছুটা হলেও এলাকার মানুষের স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে ২ কিঃমিঃ বিশাল এই কচুরী পানার স্তুপ অপসারনের জন্য হাইড্রোলিক বা মেকানিক্যাল পদ্ধতি ছাড়া সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের পরামর্শে আমি সেই পদ্ধতি ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

সিংড়ায় আঃ জোব্বারের উদ্যোগে তাজপুর ব্রীজে আটকে থাকা কচুরী পানা অপসারণ

Update Time : ০৬:১৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০

 

আশরাফুল ইসলাম সুমন,সিংড়া,নাটোর:
নাটোরের সিংড়া তাজপুর ব্রীজে প্রায় ১৫ দিন ধরে আটকে থাকা কচুরী পানার স্তুপের কিছু অংশ অবশেষে আব্দুল জোব্বারের উদ্যোগে অপসারণ করা হয়েছে। আব্দুল জোব্বার ওই এলাকার কমরপুর গ্রামের অধিবাসী এবং তাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী। ব্রীজের মোট ৫টি মুখের মধ্যে উত্তর পাশের ২ টি এবং দক্ষিন পাশের ১ টির মুখে কচুরী পানার স্তুপ অপসারণ করার কারনে নদীর পানি দ্রুত নামতে শুরু করেছে। এতে জলাবদ্ধতার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেল তাজপুর খড়সতি,নওগাঁ  ,চক নওগাঁ,জয়নগর চক তাজপুর ভাদুরী পাড়া,কমরপুর মাহমুদপুর সহ ৫ থেকে ৭ গ্রামের মানুষ। আব্দুল জোব্বার গত শনিবার থেকে ৪ দিন দিন ব্যাপী প্রতিদিন ৪ শত টাকা দিন হাজিরায় ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক নিয়োগ করে এই কচুরী পানা অপসারণ করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন ব্রীজে হঠাৎ কচুরী পানার এক বিশাল স্তুপ আটকে যায়। পরে এই কচুরী পানার স্তুপ নাগর নদীর প্রায় ২ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে বিস্তার লাভ করে। ব্রীজের মুখে আটকে থাকা কচুরী পানার স্তুপে নদীর পানি নামতে বাধাগ্রস্থ হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মাঠের রোপা ধান ডুবতে শুরু করে। এলাকার মানুষ আতংকে দিশে হারা হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আরও জানান, এমন বিপদেরমুখে তাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল জোব্বার দ্রুত শ্রমিক নিয়োগ করে ইতমধ্যে ব্রীজের ৫ টি মুখের মধ্যে উত্তর পাশের ২টি এবং দক্ষিন পাশের ১টি মুখে আটকে থাকা কচুরী পানার স্তুপ অপসারণ করেছেন। এতে নদীর পানি দ্রুত নামতে শুরু করেছে। নদীর জলাবদ্ধতার ৫০% পানির চাপ কমেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল জোব্বার বলেন,আমি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এড জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে ৫ গ্রাম থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে আজ মঙ্গলবার ৪ দিন ধরে এই কাজ করছি। এখন কিছুটা হলেও এলাকার মানুষের স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে ২ কিঃমিঃ বিশাল এই কচুরী পানার স্তুপ অপসারনের জন্য হাইড্রোলিক বা মেকানিক্যাল পদ্ধতি ছাড়া সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের পরামর্শে আমি সেই পদ্ধতি ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।