নিজস্ব প্রতিবেদক :
বহু উপাধিতে ভূষিত গীতিকার, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও ভাষাসৈনিক কন্যা সৈয়দা রাশিদা বারী- এবারে পেলেন আরো ২’টি উপাধি।
গত ৯মে ২০২৩ইং তারিখে বিকাল ৩টায় বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, কুমারখালীর চাপড়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্নে‘বাংলাদেশ দুস্থ এতিম পথশিশু সংঘ’র উদ্যোগে এবং ‘বাংলাদেশ আধুনিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ’ ও ‘ভাবনায় বাংলাদেশ’ এই দুই সংগঠনের সৌজন্যে এক মনোজ্ঞ ঈদ পূর্ণরমিলনী উপলক্ষে গণ সংবর্ধনা- ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।
জমকালো এ আয়োজন অনুষ্ঠানে, গীতিকার, কবি ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দা রাশিদা বারীকে ‘বাংলাদেশ দুস্থ এতিম পথশিশু সংঘ’ কর্তৃক ‘সাহিত্য রাণী’ উপাধীতে ভূষিত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মমতাজ বেগম (মানবাধিকার কর্মী, সাধারণ সম্পাদক- কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরি, সাধারণ সম্পাদক- ঘাতক দালালনির্মূল কমিটি, কুমারখালী, কুষ্টিয়া), সংগঠনের চেয়ারম্যান: মোঃ শাহ আলম (ম্যানেজিং ডিরেক্টর- টোটাল মেশিনারী বাংলাদেশ, ইমপোটার্স গার্মেন্টস মেশিনারি) উপদেষ্টা: মোঃ রিয়াজউদ্দিন শেখ (বীর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা, আনসার- পাকিস্তান আমল)। গুনিজন ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ হলেন- ডা: মোঃ আবুল হাশিম (কবি, গীতিকার ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট (চক্ষু) – দিশা আই কেয়ার, চোড়হাস, কাষ্টম মোড়, কুষ্টিয়া, সিনিয়র কনসালটেন্ট কাম এসোসিয়েট প্রফেসর, চক্ষু বিভাগ (প্রাক্তন) বিভাগীয় প্রধান- বগুড়া ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ); শাহ্ সুফি মোঃ নকছের আলী ভান্ডারী (প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাঁশআড়া কাশিমপুর ভান্ডারিয়া দরবার শরীফ, কুমারখালী, কুষ্টিয়া, জীবন সদস্য- কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী); নুরুন্নবী বাবু (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক- দৈনিক সময়ের কাগজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব, সাধারণ সম্পাদক: এপেক্স ক্লাব-৬); দেবাশীষ দত্ত (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক- দৈনিক আজকের আলো, সাধারণ সম্পাদক- সাংবাদিক অধিকার ফোরাম, কুষ্টিয়া জেলা)। এছাড়াও ভারতীয় অতিথি: তমা কর্মকার (কবি, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার, সম্পাদক/প্রকাশক কলকাতা, ভারত); সম্মানীত অতিথি: ভারতীয় সাংবাদিক- সম্পা দাস ও ভারতীয় সাংবাদিক- সমরেশ রায়; আমন্ত্রিত অতিথি: কে. এম মামুনুর রশিদ সমাজসেবক ও অফিসার- রূপালী ব্যাংক, কুষ্টিয়া। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক- মোঃ আশিক উদ্দিন শেখ (বি.এ- অনার্স), সভাপতিত্ব করেন- সংগঠনের সভাপতি: মোঃ কালাম শেখ (মানব দরদী ও মানবতাশীল ব্যক্তিত্ব)।
সৈয়দা রাশিদা বারীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পাঠ করেছেন এবং সংঞ্চালনায় ছিলেননিশান শাহজাদা। এই উপাধী পেয়েছেন কবি, কথাসাহিত্যিক, ভাষাসৈনিক কন্যা সৈয়দা রাশিদা বারী সাহিত্যের সর্বাঙ্গনে অসামান্য অবদান রাখায়। এটা তার সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক লেখালেখির পরিপ্রেক্ষিতে। আসলেও তার লেখালেখির ব্যাপকতা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। একজন মেয়ে মানুষের পক্ষে এটা বিরল দৃষ্টান্ত। এই বাংলাদেশে কি সামগ্রিক বিশ্বেও এমন কোন নারী লেখক নাই
যে, এক জনমে জীবনের এতো স্বল্প সময় পরিসরে, সাহিত্য অবদানে বিস্তর জায়গায় তিনি ঠিক সাহিত্যে,- সাহিত্য রানী’র মতোই আসন লাভ করেছেন। পুরুষ্কারটা উপাধি সম্পন্ন তার জন্যই ঠিক আছে বটে। এতো ব্যাপক অর্জন করেছেন তিনি যা অহংকার করারই মতোন কিন্তু তাঁর কোন গর্ব অহংকার নাই। উল্লেখ্য যে এই গুনী মানুষটি এ যাবৎ ভারী ভারী এবং গুরুত্বপূর্ণ ২শত এর উপর গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে প্রকাশিত গ্রন্থ ১শতটিরও উপরে, বেশকিছু উল্লেখযোগ্য অন্তত ৮০টি গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়, কাজ চলছে। যা তিনি এক সংঙ্গেই দিতে চান এবং কারণ বর্ণণায় অনেক ব্যাপার আছে বলে জানিয়েছেন। তিনি ৪হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। তবে শুধু সৈয়দা রাশিদা বারীই নয়, এ যাবতকাল বেশী রচনাশীল কোন গীতিকারই জীবদ্দশায় তার নিজের রচিত সব গান প্রকাশ করেন নাই। যারা বিপুল লেখেন তাদের পক্ষে এটা সম্ভব
না। লালন, নজরুল, প্রভৃতি গীতিকারের গান, পরবর্তী পুরুষ, ভক্ত উত্তরসূরী কর্তৃক প্রকাশ করেছে, এমনকি এখনও যা অব্যাহত আছে।
সৈয়দা রাশিদা বারী সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপরে সংবর্ধনা, সম্মাননা, পুরস্কার, ক্রেস্ট, উত্তরীয়, মেডেল, মানপত্র, শুভেচ্ছা শ্রদ্ধা ও প্রশংসাপত্র প্রভৃতি পেয়েছেন, স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ৮০টি। তবে উপাধী পেয়েছেন প্রায় ২০টি। আলহামদুলিল্লাহ, এ জন্য অভিনন্দন তাকে। এটাও বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রের উন্নয়ন উন্নতির এক
বৃহৎ- মহামূল্যবান সংযোজন। তার গর্ব যে তিনি চেয়ে এবং ধন্যা দিয়ে কখনোই কোন পুরষ্কার গ্রহণ করেন নাই। তার সৃজনশীল কর্মকান্ডের উপর নজর বিশ্লেষণে যে সংস্থা মূলায়ন করে সম্মাননা দিয়েছে, উপাধি দিয়েছে, সেটাই মাত্র গ্রহণ করেছেন কৃতজ্ঞ চিত্তে। তিনি বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গীতিকার। জাতীয় সচিত্র মাসিক ‘স্বপ্নের দেশ’ (ঢাকা) এর প্রকাশক-সম্পাদক। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী। আমাদের পত্রিকার পক্ষ থেকে
অভিনন্দনসহ সাহিত্যের উজ্বল ভবিষ্যত ও সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি।