করোনা রোগী ও টেস্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফয়সাল আল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এই রিমান্ড আদেশ দেন।
এদিন ফয়সাল আল ইসলামসহ ওই তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলামকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। সোমবার রাতে বনানীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত রোববার (১৯ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে অসহযোগিতা করায় বিকেল ৫টার দিকে ডা. আবুল হাসনাতকে হেফাজতে নেয় র্যাব। হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহজির কবির সাদিকেও হেফাজতে নেয়া হয়।
হাসপাতালটির বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অভিযানের দিনই সহকারি পরিচালক আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরী অফিসার শাহরিজ কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় সোমবার তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানা একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর গুলশানের অভিজাত সাহাবুউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালায র্যাব।
হাসপাতালটির করোনা পরীক্ষার কোন অনুমোদন না থাকলেও তারা করোনা পরীক্ষা করছিল। এছাড়া টাকার বিনিময়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করলেও হাসপাতালটি টেস্ট না করে ফলাফল দিচ্ছিলো। আবার করোনা নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেখে মোটা অঙ্কের টাকা বিল করছিল। হাসপাতালটির ফার্মেসির লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকলেও তা তারা নতুন করে নবায়ন করেননি। অভিযানে তাদের অপারেশন থিয়েটারে দশ বছর আগের বেশকিছু সরঞ্জাম পাওয় যায়।