পবিত্র কুমার দাস, সারিয়াকান্দি, বগুড়া:

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা জোড়গাছা গ্রামে নিলামকৃত মালামাল লুট, ক্রেতার নিকট থেকে চাঁদা দাবি ও হুমকি দেওয়ায় মোঃ হাসনাত আলী (৩০) পিতা মোঃ জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে ২৪ এপ্রিল সারিয়াকান্দি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বিবাদী গন হলেন ১। মোঃ এনামুল করিম পুটু (৪২) পিতা মোঃ খালেক প্রামানিক ২। মোঃ লুৎফর বারী বাবু (৪০) পিতা মৃত নজির ৩। মোঃ নয়ন (৩০) ৪। মোঃ শয়ন উভয়ের পিতা-মৃত টিপু মন্ডল ৫। মোঃ কাজল (২৮) পিতা মোঃ মোখলেছুর রহমান ৬। মোঃ সজিব (২২) পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্ডল ৭। মোঃ সোহাগ (২৯) পিতা মোঃ মোখলেছুর রহমান ৮। মোঃ শহিদ (৩০) পিতা মোঃ জবদালী প্রাঃ সর্ব সাং ভেলাবাড়ী ইউপির জোড়গাছা গ্রাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল ২০২১ সকাল অনুমান ১১ ঘটিকার দিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহি অফিসার অত্র থানাধীন ভেলাবাড়ী ইউপির জোড়গাছা নামক স্থানে বাঙালি নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭টি বালু উত্তোলনকারী মেশিন, ৭টি ৪.৫ ফিট লোহার শিকল, ৭ টি টিউবওয়েল জব্দ করেন এবং একই তারিখে বিকাল অনুমান ৪ ঘটিকার দিকে প্রকাশ্য নিলাম ডাক ধরিলে হাসনাত আলী সর্বোচ্চ ডাকদাতা হিসেবে ৯৭ হাজার টাকা মূল্যে ক্রয় করিতে ইচ্ছুক হওয়ায় উক্ত টাকার ভ্যাট, আয়কর সহ মোট ১ লক্ষ ৯ হাজার ১২৫ টাকা সব মালামাল ক্রয় করে নগদ টাকা পরিশোধ করেন।
অভিযোগ সূত্রে বাদী হাসনাত আলী জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহি অফিসার চলিয়া যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ১ নং বিবাদী এনামুল করিম পুটু এর হুকুমে উল্লেখিত বিবাদীগন আমার বর্ণিত মালামাল লুট করিয়া লইয়া যায়। আমি ১ নং বিবাদীকে বলি যে, আমার মালামাল ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তখন উক্ত বিবাদী বলে যে, রাত্রের মধ্যে ফেরত দেওয়া হইবে। কিন্তু রাত্রি অতিবাহিত হলেও বিবাদী গন আমার মালামাল ফেরত দেয় না। পরের দিন ১৪ এপ্রিল সকাল বেলা ১ নং বিবাদীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আবারো অনুরোধ করে আমার মালামাল ফেরত চাইলে বিবাদী দেখতেছি বলিয়া জানায়। একই তারিখ রাত্রি অনুমান ১১ঃ৪৫ ঘটিকার দিকে ২ নং বিবাদী লুৎফর বারী বাবু অন্যান্য ৩ থেকে ৮ নং বিবাদীদের জোড়গাছা বাজারের দক্ষিণ পাশে আমার মাছের খামারে পাঠায় এবং আমার নিকটে গিয়ে বলে যে, আমি কেন বাড়াবাড়ি করিতেছি। এই বলিয়া আমার নিকট ৫০০০০ টাকা চায়। আমি যদি টাকা না দেই তাহলে বিবাদী গন আমাকে তুলে লইয়া যাইবে বলিয়া হুমকি-ধামকি দিয়া চলিয়া যায়। ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান ৬ঃ১০ ঘটিকার দিকে জোড়গাছা বাজারের চারমাথায় জনৈক পুটু এর দোকানের সামনে ১ নং বিবাদীর সাথে দেখা পাইয়া ঘটনার বিষয়ে বলিলে বিবাদী কোনো সন্তোষ জনক উত্তর না দিয়া বলে যে, যা পারো তাই করো। এই কথা বলতে না বলতেই অন্যান্য বিবাদী গন হাতে লাঠি, দা, চাকু ইত্যাদি লইয়া আমাকে মারপিট করার উদ্যত হয়। সেই সময় সাক্ষী ১। মোঃ রুবেল উদ্দিন চেয়ারম্যান ভেলাবাড়ী ইউপি ২। মোঃ রিগেন (৩০) পিতা-মৃত জাইদুর রহমান ৩। মোঃ রুহুল আমিন (৩২) পিতা মোঃ ফরিদ প্রাঃ ৪। মোঃ নান্টু (৩৫) পিতা কান্দু আকন্দ সহ আরো অনেকেই আসিয়া আমাকে বিবাদী গনের হাত থেকে রক্ষা করে। সাক্ষীগণ আসিলে বিবাদী গন আমাকে সুযোগমতো পাইলে খুন করিবে বলিয়া বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করিয়া চলিয়া যায়। লোক মুখে বলে বেড়াইতেছে যে, আমার মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারিয়া বড় ধরনের ক্ষতি করিবে। বিষয়টি লইয়া আমার আত্মীয়-স্বজনের সহিত আলাপ-আলোচনা করিয়া অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হইল।

উপরোক্ত বিষয় সংক্রান্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে থানার অফিসার ইনচার্জ এবং তদন্ত কর্মকর্তার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচায় অন্তে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

1 মন্তব্য

  1. আমি মোঃ হাসনাত আলী, আমি যদি এই ঘটনার সাথে যাহারা জরিত তাদের বিরুদ্ধে সঠিক আইনানুগ ব্যাবস্হা না নেওয়া হয়, সেই ক্ষেত্রে আমি মহামান্য রাষ্ট্র প্রতির আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে