মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান। সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেলেও দিনের তাপমাত্রা অপরির্বতিত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিম এবং তৎসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে ঝাড়খন্ড এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিকাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশে মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ইহার একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান।
আগামী দুই দিনে বা ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ দিক দিয়ে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে যা অস্থায়ী দমকা হাওয়ায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আজ সোমবার ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে।
গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে ১৮৭ মিলিমিটার। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল কক্সবাজারের ২৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।