Dhaka ০১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারাদেশে চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৫ Time View

বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ধরণের ওষুধ নিয়ে সারা দেশে চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি। যেখানে ওষুধ কেনা যাবে তিন ভাগের এক ভাগ দামে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।

তিনি বলেন, কম দামে ঔষধ কেনার পাশাপাশি এসব ফার্মেসিতে ওষুধের গুণগত মানও হবে সর্বোচ্চ। শুরুতে সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরেই বসবে এই ফার্মেসি। কম টাকায় সাধারণ মানুষের জন্য ওষুধ নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ সরকারের।

দেশে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে আক্রান্ত কয়েক কোটি মানুষ। একজন রোগীর গড় চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৪ ভাগই যায় ওষুধ কেনার পেছনে। ফলে, ওষুধ কিনতে গিয়েই প্রতি বছর দরিদ্র হন অনেক রোগী। এসব রোগীর কথা চিন্তা করে এ উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব ফার্মেসিতে বিক্রয় হওয়া ২৫০ ধরণের ওষুধ দিয়েই ৮৫ ভাগ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব।

সায়েদুর রহমান বলেন, ল্যাব সার্ভিস আছে, অন্যান্য প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিস আছে কিন্তু কোথাও কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস নেই। এটা একটা নতুন বন্দোবস্ত, যা চালু করতে হবে। সরকারের যেসব হাসপাতাল আছে, সেখান থেকে এটা করা হবে।

তিনি বলেন, বছরে ১৩শ কোটি টাকার ওষুধ কেনে সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি-ইডিসিএল। এবার থেকে বাড়বে বাজেট। প্রয়োজন অনুযায়ী বেশি পরিমাণে কেনা হবে ওষুধ। বাড়ানো হবে সরকারের উৎপাদন সক্ষমতাও। সরকারি ফার্মেসির বড় চ্যালেঞ্জ ওষুধ চুরি ঠেকানো। তাই, পুরো ব্যবস্থা ডিজিটাল করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

সারাদেশে চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি

Update Time : ১০:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ধরণের ওষুধ নিয়ে সারা দেশে চালু হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি। যেখানে ওষুধ কেনা যাবে তিন ভাগের এক ভাগ দামে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।

তিনি বলেন, কম দামে ঔষধ কেনার পাশাপাশি এসব ফার্মেসিতে ওষুধের গুণগত মানও হবে সর্বোচ্চ। শুরুতে সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরেই বসবে এই ফার্মেসি। কম টাকায় সাধারণ মানুষের জন্য ওষুধ নিশ্চিত করতেই এ উদ্যোগ সরকারের।

দেশে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে আক্রান্ত কয়েক কোটি মানুষ। একজন রোগীর গড় চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৪ ভাগই যায় ওষুধ কেনার পেছনে। ফলে, ওষুধ কিনতে গিয়েই প্রতি বছর দরিদ্র হন অনেক রোগী। এসব রোগীর কথা চিন্তা করে এ উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এসব ফার্মেসিতে বিক্রয় হওয়া ২৫০ ধরণের ওষুধ দিয়েই ৮৫ ভাগ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব।

সায়েদুর রহমান বলেন, ল্যাব সার্ভিস আছে, অন্যান্য প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিস আছে কিন্তু কোথাও কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস নেই। এটা একটা নতুন বন্দোবস্ত, যা চালু করতে হবে। সরকারের যেসব হাসপাতাল আছে, সেখান থেকে এটা করা হবে।

তিনি বলেন, বছরে ১৩শ কোটি টাকার ওষুধ কেনে সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি-ইডিসিএল। এবার থেকে বাড়বে বাজেট। প্রয়োজন অনুযায়ী বেশি পরিমাণে কেনা হবে ওষুধ। বাড়ানো হবে সরকারের উৎপাদন সক্ষমতাও। সরকারি ফার্মেসির বড় চ্যালেঞ্জ ওষুধ চুরি ঠেকানো। তাই, পুরো ব্যবস্থা ডিজিটাল করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।