Dhaka ০৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের স্ত্রীর প্লট-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • 32

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চারতলা বাড়ি, পুরোনো ভবনসহ ১৬ শতক জমির চারটি প্লট ও পল্লবীতে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার ছয়টি ব্যাংক হিসাব ও দুইটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মনিপুরি পাড়ায় ৫ দশমিক ৫৭ কাঠা প্লটের ওপর ৩ হাজার ৪০০ বর্গফুটের চারতলা ভবন, একই এলাকায় ৫ দশমিক ৭৬ শতক জায়গার আলাদা দলিলের দুইটি প্লট ও দুই ইউনিট বিশিষ্ট পুরোনো ভবন, একই এলাকায় ১ দশমিক ৩৪ শতক জমি, পল্লবী এলাকায় ১৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এছাড়াও অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া ছয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৬ টাকা।

আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি লুৎফুল তাহমিনা খান ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে অপরাধ করেছেন। একই সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লুৎফুল তাহমিনাকে অপরাধে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছেন। আসামি তাহমিনা নিজ নামীয় এবং তার আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামীয় একাধিক ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত মোট ৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, আসামিরা মামলা সংশ্লিষ্ট অপরাধলব্ধ সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে মামলার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে আসামির বিভিন্ন সম্পত্তির মধ্যে আপাতত উল্লিখিত স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের স্ত্রীর প্লট-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

Update Time : ১২:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চারতলা বাড়ি, পুরোনো ভবনসহ ১৬ শতক জমির চারটি প্লট ও পল্লবীতে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার ছয়টি ব্যাংক হিসাব ও দুইটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মনিপুরি পাড়ায় ৫ দশমিক ৫৭ কাঠা প্লটের ওপর ৩ হাজার ৪০০ বর্গফুটের চারতলা ভবন, একই এলাকায় ৫ দশমিক ৭৬ শতক জায়গার আলাদা দলিলের দুইটি প্লট ও দুই ইউনিট বিশিষ্ট পুরোনো ভবন, একই এলাকায় ১ দশমিক ৩৪ শতক জমি, পল্লবী এলাকায় ১৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এছাড়াও অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া ছয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৬ টাকা।

আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি লুৎফুল তাহমিনা খান ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে অপরাধ করেছেন। একই সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লুৎফুল তাহমিনাকে অপরাধে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছেন। আসামি তাহমিনা নিজ নামীয় এবং তার আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামীয় একাধিক ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত মোট ৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, আসামিরা মামলা সংশ্লিষ্ট অপরাধলব্ধ সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে মামলার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে আসামির বিভিন্ন সম্পত্তির মধ্যে আপাতত উল্লিখিত স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।