Dhaka ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় সরকার দায়ী নয় : শফিকুল আলম

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ২৬ Time View

২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার দায় সরকার নেয় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই কর্তৃক আয়োজিত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গণমাধ্যমের হালচাল শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, আগে ১৬৭ জন সাংবাদিকের এক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিল। তবে সেটি একটি ভুল ছিল বলে স্বীকার করে নতুন নীতিমালা করা হয়েছে। নতুন নীতিমালা সাংবাদিক-বান্ধব এবং সহজ করা হয়েছে। এখন এক্রিডিটেশন কার্ড পেতে বিদেশে গেলে সরকারের অনুমতি নেওয়া বা সরকারের প্রশংসা করার প্রয়োজন নেই। খুব শিগগিরই এক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া শুরু হবে। যারা জার্নালিস্ট তারাই পাবেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আগে ছাত্রলীগের কিছু সদস্য এক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে কাজ করতেন। এমনকি এমপিদের কাছেও সাংবাদিকের কার্ড থাকত। এই কার্ড সচিবালয়ে ঢোকা সহজ করত। এখন শুধুমাত্র কর্মরত সাংবাদিকরা এই কার্ড পাবেন, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।

প্রেস সচিব বলেন, ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নিয়ে ডেইলি স্টারে রিপোর্ট করা হয়েছে। আমরা ওয়েলকাম করি- এটা নিয়ে আরও রিপোর্ট করা উচিত। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, এই মামলাগুলো কারা কারা করলেন? এটি কি সরকার করিয়েছে? সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। এই মামলাগুলো সরকার করেনি। সরকার কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করছে না। অনেক সাংবাদিক তাদের কাজ যথাযথভাবে করছেন। আশা করছি, খুব দ্রুত এই অধ্যায় শেষ হবে।

তিনি বলেন, গত নয় মাসে গণমাধ্যমে অভূতপূর্ব স্বাধীনতা বিরাজ করছে। কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তবে সেটি গণমাধ্যমের মালিকদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত ছিল। সরকার থেকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি।

প্রেস সচিব আরও বলেন, একজন সাংবাদিকের আসল পরিচয় সাংবাদিকতাই হওয়া উচিত, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয় নয়। এটা যদি না হয় তাহলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার দেওয়া মতামত ভুল হলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তখন আপনার প্রতি অন্যদের বিশ্বাসের জায়গা নষ্ট হবে।

তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। অতীতের ফ্যাসিস্ট শাসনের নেতিবাচক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকতার অধিকার যারা নষ্ট করেছেন, তাদের তা স্বীকার করতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় সরকার দায়ী নয় : শফিকুল আলম

Update Time : ১২:১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার দায় সরকার নেয় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই কর্তৃক আয়োজিত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গণমাধ্যমের হালচাল শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, আগে ১৬৭ জন সাংবাদিকের এক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিল। তবে সেটি একটি ভুল ছিল বলে স্বীকার করে নতুন নীতিমালা করা হয়েছে। নতুন নীতিমালা সাংবাদিক-বান্ধব এবং সহজ করা হয়েছে। এখন এক্রিডিটেশন কার্ড পেতে বিদেশে গেলে সরকারের অনুমতি নেওয়া বা সরকারের প্রশংসা করার প্রয়োজন নেই। খুব শিগগিরই এক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া শুরু হবে। যারা জার্নালিস্ট তারাই পাবেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আগে ছাত্রলীগের কিছু সদস্য এক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে কাজ করতেন। এমনকি এমপিদের কাছেও সাংবাদিকের কার্ড থাকত। এই কার্ড সচিবালয়ে ঢোকা সহজ করত। এখন শুধুমাত্র কর্মরত সাংবাদিকরা এই কার্ড পাবেন, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।

প্রেস সচিব বলেন, ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নিয়ে ডেইলি স্টারে রিপোর্ট করা হয়েছে। আমরা ওয়েলকাম করি- এটা নিয়ে আরও রিপোর্ট করা উচিত। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, এই মামলাগুলো কারা কারা করলেন? এটি কি সরকার করিয়েছে? সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। এই মামলাগুলো সরকার করেনি। সরকার কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করছে না। অনেক সাংবাদিক তাদের কাজ যথাযথভাবে করছেন। আশা করছি, খুব দ্রুত এই অধ্যায় শেষ হবে।

তিনি বলেন, গত নয় মাসে গণমাধ্যমে অভূতপূর্ব স্বাধীনতা বিরাজ করছে। কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তবে সেটি গণমাধ্যমের মালিকদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত ছিল। সরকার থেকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি।

প্রেস সচিব আরও বলেন, একজন সাংবাদিকের আসল পরিচয় সাংবাদিকতাই হওয়া উচিত, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয় নয়। এটা যদি না হয় তাহলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার দেওয়া মতামত ভুল হলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তখন আপনার প্রতি অন্যদের বিশ্বাসের জায়গা নষ্ট হবে।

তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। অতীতের ফ্যাসিস্ট শাসনের নেতিবাচক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকতার অধিকার যারা নষ্ট করেছেন, তাদের তা স্বীকার করতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।