প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশের সকল শিশুর সমঅধিকার নিশ্চিত করে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। শিশুর সার্বিক বিকাশ ও অধিকার বাস্তবায়নে এবং শিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ ও নির্যাতন বন্ধের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা, পরিবার ও সমাজের সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্ব বর্তমানে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন। শিশুরাও এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ নয়। সরকার এই মহামারি মোকাবিলায় সব দিক থেকে তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসহ সকল সচেতন নাগরিককে শিশুদের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আগামীকাল বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি আশা করি, দেশের শিশুদের আগামী নেতৃত্বের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হব।”

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত এবং এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশুকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এবারের প্রতিপাদ্য : ‘শিশুর সাথে শিশুর তরে, বিশ্ব গড়ি নতুন করে’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, একদিন তারাই দেশের নেতৃত্ব দিবে। আওয়ামী লীগ সরকার শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ‘শিশু আইন’ প্রণয়ন করেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের অন্যতম অনুস্বাক্ষরকারী দেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছি। আমরা শিশুশ্রম নিরসন নীতি ২০১০, শিশু আইন ২০১৩ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। পথশিশু, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশু, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া ও প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছি। পরিত্যক্ত শিশুদের সেবা ও ভাতা প্রদান, পথশিশুদের পুনর্বাসনসহ তাদের জীবনমান উন্নত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুর শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে স্কুলে টিফিন, শিশুর জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, বর্তমান সরকার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল শিশুদের জন্য শিশু বিকাশ কেন্দ্র কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং চা-বাগান ও গার্মেন্টস কর্মীদের শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার স্থাপন ও পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিনি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০’-এর সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে