Dhaka ১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • 56

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে অধ্যাদেশটির ব্যাপারে সর্বোচ্চ পুনর্বিবেচনা করা হবে।  

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। অধ্যাদেশের ব্যাপারে ওনাদের অনেক আপত্তি আছে। তাদের আপত্তিগুলো শোনার পূর্ণ মানসিকতা সরকারের আছে। এ জন্য উপদেষ্টা পর্যায়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি হবে। কমিটির দায়িত্বই হবে ওনাদের আপত্তিগুলো ভালো করে শোনা, বিবেচনা করা এবং সে অনুযায়ী সুপারিশ করা। 

তিনি আরও বলেন, কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত দেয় না, প্রস্তাব দেয়। উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশটি পাস হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে সুপারিশ উপস্থাপিত হবে। সর্বোচ্চ মানবিক দিক থেকে ওনাদের আপত্তির বিষয়গুলো বিবেচনা করার মানসিকতা সরকারের রয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকাটা প্রত্যাশিত বিষয় নয়। সে কারণে অধ্যাদেশের বিষয়ে ভালো করে শোনা বোঝার জন্যই কমিটি করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমি যদি কমিটিতে থাকি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে ওনাদের বক্তব্য শুনব এবং সেটি উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা

Update Time : ১২:০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে অধ্যাদেশটির ব্যাপারে সর্বোচ্চ পুনর্বিবেচনা করা হবে।  

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। অধ্যাদেশের ব্যাপারে ওনাদের অনেক আপত্তি আছে। তাদের আপত্তিগুলো শোনার পূর্ণ মানসিকতা সরকারের আছে। এ জন্য উপদেষ্টা পর্যায়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি হবে। কমিটির দায়িত্বই হবে ওনাদের আপত্তিগুলো ভালো করে শোনা, বিবেচনা করা এবং সে অনুযায়ী সুপারিশ করা। 

তিনি আরও বলেন, কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত দেয় না, প্রস্তাব দেয়। উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশটি পাস হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে সুপারিশ উপস্থাপিত হবে। সর্বোচ্চ মানবিক দিক থেকে ওনাদের আপত্তির বিষয়গুলো বিবেচনা করার মানসিকতা সরকারের রয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকাটা প্রত্যাশিত বিষয় নয়। সে কারণে অধ্যাদেশের বিষয়ে ভালো করে শোনা বোঝার জন্যই কমিটি করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমি যদি কমিটিতে থাকি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে ওনাদের বক্তব্য শুনব এবং সেটি উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করব।