Dhaka ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
  • ১২৮ Time View

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হচ্ছে। এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে বুধবার একটি লঘুচাপ তৈরি হয়। পরে সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নেয়। এটি আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি বুধবার সকালে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। এটি আজ আরো ঘনীভূত হবে। আগামী শুক্র-শনিবারের দিকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে কি না বা কোন দিকে অগ্রসর হবে তা এখনই বলা যাবে না।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বৃষ্টির প্রবণতা আরো বাড়বে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আজ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় বৃষ্টি ঝরবে। কোথাও কোথাও বজ সহ বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৭১ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৬ মিলিমিটার।

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল। সেটি পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের ওড়িশায় স্থলভাগ অতিক্রম করে। তখন কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অবশ্য এই মাসে একটি ঘূর্ণিঝড়ের খবর আগেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তখন তার নাম হবে ‘গতি’।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে

Update Time : ০৪:৩৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হচ্ছে। এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে বুধবার একটি লঘুচাপ তৈরি হয়। পরে সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নেয়। এটি আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) আরও ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি বুধবার সকালে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। এটি আজ আরো ঘনীভূত হবে। আগামী শুক্র-শনিবারের দিকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে কি না বা কোন দিকে অগ্রসর হবে তা এখনই বলা যাবে না।

এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বৃষ্টির প্রবণতা আরো বাড়বে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আজ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় বৃষ্টি ঝরবে। কোথাও কোথাও বজ সহ বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৭১ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৪৬ মিলিমিটার।

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল। সেটি পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের ওড়িশায় স্থলভাগ অতিক্রম করে। তখন কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অবশ্য এই মাসে একটি ঘূর্ণিঝড়ের খবর আগেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তখন তার নাম হবে ‘গতি’।