Dhaka ১১:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

সমালোচনার ঝড় মুশফিকুর রহিমের বেসামাল আচরণে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৮৫ Time View

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শ্বাসরুদ্ধকর এলিমিনেটরে বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেল বেক্সিমকো ঢাকা।

তবে ম্যাচের ফলাফলকে ছাপিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বেসামাল আচরণে।

হারলেই বিদায়! এমন সমীকরণ সামনে নিয়েই আজ এলিমেনেটরে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয় বেক্সিমকো ঢাকা। এমন ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই চাপে থাকার কথা ক্রিকেটারদের। সেই চাপেই যেন মেজাজ হারিয়ে ফেললেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পুরো ম্যাচেই সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি ফিল্ডার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উঠে যায় মুশির!

প্রথম ঘটনাটি বরিশালের ইনিংসের ১৩তম ওভারের। ৪৮ বলে তখন বরিশালের দরকার ৯৬ রান। নাসুমকে এগিয়ে এসে বিশাল এক ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ হোসাইন। ওই সময় ছক্কা খাওয়াতে মুশফিক যারপরনাই ছিলেন বিরক্ত। পরের বলেই আফিফ মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন। তখন নিজের পজিশন ছেড়ে বোলিং কুড়িয়ে আনতে যান নাসুম। এদিক থেকে যান মুশফিকও। তবে বলটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক-ই, কিন্তু বলটি উইকেটের দিকে না ছুঁড়ে নাসুমকেই মারার জন্য উদ্যত হন উত্তেজিত মুশফিক!

পরের ঘটনাটি ঘটে ১৭তম ওভারের। বাঁহাতি পেসার শফিকুলের বলে মারতে গিয়ে এবার উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ। অনেক উপরে ওঠা বলটি লুফে নিতে শর্ট ফাইন লেগ অঞ্চলে ছুটে যান মুশফিক। ক্যাচটি ধরতে ছুটছিলেন ওই অঞ্চলের ফিল্ডার নাসুমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দেন নাসুম। তবে দুজনের মধ্যে একটু ধাক্কা লাগে বটে। যে কারণে মুশফিক ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন! যদিও ক্যাচটি নিতে তেমন সমস্যা হয়নি মুশফিকের।

তবে স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে বিস্মিত ছিলেন নাসুম। উইকেট পেয়ে যেখানে উল্লাস করার কথা! উল্টো নাসুম পেলেন ‘অপ্রত্যাশিত’ আচরণ। যা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে বড্ডই বেমানান।

অবশ্য এলিমেনেটর ম্যাচে কেবল নাসুমের সঙ্গেই মুশফিক এমন আচরণ করেননি। পুরো ম্যাচজুড়েই উইকেটের পেছন থেকে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ককে!

যদিও ম্যাচ শেষে ফিল্ডিং নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন মুশফিক। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই। ফিল্ডিং নিয়ে হতাশ ছিলাম তবে এইটা খেলারই অংশ। বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকভাবেই করতে পেরেছে এবং অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছে যেটা কিনা ভালো লক্ষণ। এই জয় সামনের ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস জোগাবে আমাদের। আশা করছি পরের ম্যাচে আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে পারব এবং সেগুলো প্রথম ছয় ওভারে বাস্তবায়ন করতে পারব।”

তবে মুশফিকের এমন আচরণের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। বিদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের অনেকেও নিন্দা করছেন মুশফিকের এমন আচরণের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সমালোচনার ঝড় মুশফিকুর রহিমের বেসামাল আচরণে

Update Time : ০৮:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শ্বাসরুদ্ধকর এলিমিনেটরে বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেল বেক্সিমকো ঢাকা।

তবে ম্যাচের ফলাফলকে ছাপিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বেসামাল আচরণে।

হারলেই বিদায়! এমন সমীকরণ সামনে নিয়েই আজ এলিমেনেটরে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয় বেক্সিমকো ঢাকা। এমন ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই চাপে থাকার কথা ক্রিকেটারদের। সেই চাপেই যেন মেজাজ হারিয়ে ফেললেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পুরো ম্যাচেই সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি ফিল্ডার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উঠে যায় মুশির!

প্রথম ঘটনাটি বরিশালের ইনিংসের ১৩তম ওভারের। ৪৮ বলে তখন বরিশালের দরকার ৯৬ রান। নাসুমকে এগিয়ে এসে বিশাল এক ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ হোসাইন। ওই সময় ছক্কা খাওয়াতে মুশফিক যারপরনাই ছিলেন বিরক্ত। পরের বলেই আফিফ মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন। তখন নিজের পজিশন ছেড়ে বোলিং কুড়িয়ে আনতে যান নাসুম। এদিক থেকে যান মুশফিকও। তবে বলটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক-ই, কিন্তু বলটি উইকেটের দিকে না ছুঁড়ে নাসুমকেই মারার জন্য উদ্যত হন উত্তেজিত মুশফিক!

পরের ঘটনাটি ঘটে ১৭তম ওভারের। বাঁহাতি পেসার শফিকুলের বলে মারতে গিয়ে এবার উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ। অনেক উপরে ওঠা বলটি লুফে নিতে শর্ট ফাইন লেগ অঞ্চলে ছুটে যান মুশফিক। ক্যাচটি ধরতে ছুটছিলেন ওই অঞ্চলের ফিল্ডার নাসুমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দেন নাসুম। তবে দুজনের মধ্যে একটু ধাক্কা লাগে বটে। যে কারণে মুশফিক ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন! যদিও ক্যাচটি নিতে তেমন সমস্যা হয়নি মুশফিকের।

তবে স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে বিস্মিত ছিলেন নাসুম। উইকেট পেয়ে যেখানে উল্লাস করার কথা! উল্টো নাসুম পেলেন ‘অপ্রত্যাশিত’ আচরণ। যা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে বড্ডই বেমানান।

অবশ্য এলিমেনেটর ম্যাচে কেবল নাসুমের সঙ্গেই মুশফিক এমন আচরণ করেননি। পুরো ম্যাচজুড়েই উইকেটের পেছন থেকে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ককে!

যদিও ম্যাচ শেষে ফিল্ডিং নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন মুশফিক। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই। ফিল্ডিং নিয়ে হতাশ ছিলাম তবে এইটা খেলারই অংশ। বোলাররা তাদের কাজটা ঠিকভাবেই করতে পেরেছে এবং অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছে যেটা কিনা ভালো লক্ষণ। এই জয় সামনের ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস জোগাবে আমাদের। আশা করছি পরের ম্যাচে আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে পারব এবং সেগুলো প্রথম ছয় ওভারে বাস্তবায়ন করতে পারব।”

তবে মুশফিকের এমন আচরণের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। বিদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের অনেকেও নিন্দা করছেন মুশফিকের এমন আচরণের।