করোনা পরিস্থিতি, ঘুর্ণিঝড় ও বন্যায় ত্রাণ তৎপরতায় বেশি নজর ছিলো আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর। ফলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের গতি যায় কমে। এমন পরিস্থিতি কাটাতে সব ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। তৃণমূলে পাঠানো হয়েছে চিঠি। আর তাগিদ দেয়া হয়েছে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে দেশজুড়ে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই দলের কার্যক্রম গতিশীল করতে পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন হয়েছে অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের কেন্দীয় নির্বাহী পর্ষদ। তবে মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলালীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদসহ ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। স্থানীয় কমিটি গঠনের প্রস্তুতি হিসেবে এখন চলছে কর্মীসভা ও বর্ধিত সভা।
করোনা সংকটসহ নানা দুর্যোগ সামলাতে তৃণমূলের চলমান পর্ষদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিলো না বলে জানান কেন্দীয় নেতারা।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু জানান, প্রায়োরোটি ব্যাসিসে ১০-১২টা কমিটি খুবই এসেনশিয়াল হয়ে পড়েছে, এগুলো আমাদের ফাস্ট স্টেইজে করতে হবে। কিছু কমিটি হয়ে রয়েছে কিন্তু এগুলো পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। যেহেতু এই সময় করোনা ছিল তাই এ ব্যাপারে তাদেরকে প্রেসার দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন যেহেতু আস্তে আস্তে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাচ্ছে, সেহেতু আমরা অচিরেই চিঠি দিয়ে সময় নির্ধারণ করে দিব এর ভেতর কমিটি করে আমাদের কাছে যেন জমা দেয়।
নেতৃত্ব নির্বাচনের কৌশলের অংশ হিসেবে কমিটিতে স্থান পেতে হলে ব্যক্তির অতীত ও বর্তমান খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান নেতারা।
আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল জানান, আমাদের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার, আওয়ামী যুবলীগের পতাকাতলে অনুপ্রবেশকারী এবং সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাস্তান, মাদকসেবনকারী, মাদকবিক্রেতা, মানুষের উপর জুলুমকারী-অত্যাচারকারীরা কোন স্তরেই জায়গা পাবে না।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগও সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। উদ্যোগ নিয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠনের।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় জানান, যেগুলো বেশি মেয়াদে উত্তীর্ণ হয়েছে সেগুলোকে টার্গেট করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু সেই মুহূর্তে আমরা করোনা মহামারীর মধ্যে পড়ে গিয়েছি। আমরা চাই করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের সাংগঠনিক যে ইউনিটগুলো আছে ওগুলোকে ঢেলে সাজাবো।
আওয়ামী লীগের সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলাসহ মেয়াদোত্তীর্ণ সব কমিটি নির্বাচনে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেবারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মূল দলের পক্ষ থেকে।