ক্রীড়া ডেস্ক:
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সপ্তম বারের মত ব্যালন ডি’অর জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
সোমবার প্যারিসে জমকালো অনুষ্ঠানে মেসির হাতে তুলে দেওয়া হয় ফরাসি ফুটবল ম্যাগাজিনের এর পুরস্কার, ব্যালন ডি’অর ২০২১।
গত বছরের সেরা খেলোয়াড়ের এ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে ফেবারিট ছিলেন আর্জেন্টাইন এ তারকা। পোল্যান্ডের রবার্ট লেফানডভস্কি এই পুরস্কার জয়ে ছিলেন মেসির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। সংক্ষিপ্ত পাঁচজনের তালিকায় ছিলো মেসি, লেফানডভস্কি, জর্জিনিও, করিম বেনজেমা ও এনগোলো কান্তে।
ভোটাভুটিতে লেফানডভস্কিকে হারিয়ে নিজের সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যালন ডি’অর জয়ের রেকর্ডকে আরও এক ধাপ উঁচুতে নিয়ে গেলেন আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকর।
বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয়ের রেকর্ডটা আগে থেকেই মেসির। সংখ্যাটাকে আরও বাড়িয়ে নিলেন ফুটবলের এই মহাতারকা। রেকর্ড সাতবার, যেন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে! দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার পুরস্কারটি জিতেছেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
এখনও খেলছেন এমন ফুটবলারদের মধ্যে পুরস্কারটি আর জিতেছেন কেবল ৩৬ বছর বয়সী লুকা মদ্রিচ, একবার ২০১৮ সালে।
আগের ছয়বার মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন-২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে। আগের ছয়বারই এই স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন বার্সেলোনায় থাকাকালীন।
১৯৫৬ সালে প্রথমবার দেওয়া হয় ব্যালন ডি’অর। তখন কেবল ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে সেটি দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় খেলা ফুটবলারকে। সারা বিশ্বের ১৭০ জন ফুটবল সাংবাদিক বেছে নেন ব্যালন ডি অর জয়ীকে।