Dhaka ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুশৃঙ্খলভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছে ডিএমপি বিচে জলকেলিতে মেতেছে নুসরাত ফারিয়া সৌদি আরব যাচ্ছে এক কোটি টাকার ওষুধসহ ২০০ চিকিৎসক-নার্স পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব ঢাকায় আসছেন ১৭ এপ্রিল, পরে আসবেন মন্ত্রীও স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে সম্মত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে বগুড়ার শিবগঞ্জে উদ্যোক্তা বকুল ভার্মি কম্পোস্ট কারখানায় অগ্নিকান্ড বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত, আঞ্চলিক বাণিজ্যে বড় শঙ্কা শিগগিরই আসছে ২০০০ কোটি টাকার ৬ষ্ঠ বিনিয়োগ সুকুক এ বছর ৩৬ টাকায় ধান, ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার এসএ টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

সদ্য মায়ের প্রথম দুধ শিশুর জীবনভর সুরক্ষা প্রায় সুনিশ্চিত করে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
  • ১৪৫ Time View

করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে সবাইকে, এমনকি সদ্যোজাতদেরও। করোনাভাইরাস ছাড়াও জীবন ভর নানান অসুখ বিসুখ আটকাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলতে হবে। আর এর প্রথম ধাপ জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শিশুকে মায়ের হলুদ খাওয়ানো। বিশেষজ্ঞদের মতে সদ্য মায়ের হলুদ দুধ নবজাতকের জন্য প্রথম ভ্যাকসিন।

করোনার মহামারীর সময় প্রত্যেক নবজাতকের মাকে মনে রাখতে হবে, শিশুকে স্তন্যপান করানোর ব্যাপারে কোনও রকম আপস চলবে না। বিশেষ করে শিশু ভূমিষ্ঠ হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই মায়ের যে হালকা হলদেটে দুধ নিঃসৃত হয়, সেই দুধ থেকে কোন ক্রমেই বঞ্চিত করা যাবে না শিশুকে।

এতে আছে নানা ধরনের অ্যান্টিবডি যা নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ভিত মজবুত করতে সাহায্য করে। যারা মা হতে চলেছেন এবং সদ্য মা হয়েছেন তাদের মনে রাখা দরকার, যতই শারীরিক কষ্ট হোক না কেন, বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে স্তন্যপান করানো উচিত।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুকে স্তন্যপান করালে ভবিষ্যতে নানা অসুখ বিসুখকে দূরে রাখার পাশাপাশি বুদ্ধির বিকাশ হয় দ্রুত। প্রসবের ঠিক পর পরেই মায়ের স্তন বৃন্ত থেকে ঈষৎ হলদেটে ঘন দুধ নিঃসৃত হয়। এই দুধকে বলা হয় কোলোস্ট্রাম। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা একে বলে থাকে ‘তরল সোনা’।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রসবের পর ম্যামারি গ্ল্যান্ডে জমে থাকা ঘন এই কোলোস্ট্রাম স্বাভাবিক মাতৃদুগ্ধের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ ঘন। মাত্র ২ থেকে ৩ দিন এই দুধ নিঃসৃত হয়। কোলোস্ট্রাম নিঃসরণের পরিমাণ অত্যন্ত কম, সারা দিনে মাত্র কয়েক চামচ। তবে তা নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। কারণ নবজাতের পাকস্থলীর আকারও একটা মার্বেল গুলির মত। তাই প্রথম দু’তিন দিন যৎসামান্য এই অমৃতেই সে ভরপেট হয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমায়।

কোলোস্ট্রামে ‘আইজিএ’ নামক এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি থাকে যা নবজাতকের মুখগহ্বর, গলা, থেকে শুরু করে ফুসফুস ও অন্ত্র প্রতিটি অঙ্গের রক্ষাকারী আবরণ মিউকাস মেমব্রেনকে সুরক্ষিত রাখে। মিউকাস স্তর মজবুত হলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। যদি কোন ইনফেকশন হয় তা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌছতেও দেয় না। বিশেষ করে প্রিটার্ম বেবি অর্থাৎ সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে যে শিশু, তাদের শ্বাসনালী ও ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রসূতির যতই শারীরিক কষ্ট থাকুক না কেন, বাচ্চার ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখতে জন্মের পর দ্রুত কোলোস্ট্রাম পান করাতেই হবে। শুধুই যে ‘আইজিএ’ অ্যান্টিবডি আছে তা নয়, সদ্য মায়ের প্রথম দুধে আছে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান যা শিশুকে দিলে তার জীবনভর সুরক্ষা প্রায় সুনিশ্চিত। মায়ের এই দুধ পান করলে শিশুকে জন্ডিসের সমস্যায় ভুগতে হয় না। একই সঙ্গে মায়ের শরীরের সব হরমোন নিঃসরণ দ্রুত নির্দিষ্ট ছন্দে ফিরে আসে।

কোলোস্ট্রাম নিয়ে নানান গবেষণায় এর অজস্র গুণাগুণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেগুলো এবার জেনে নেওয়া যাক।

* কোলোস্ট্রামে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন সাইটোকাইনস থাকে। শরীরের প্রতিটি কোষের গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় এই সাইটোকাইনস। একই সঙ্গে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, পেন রিলিভিং অর্থাৎ ব্যথা কমাতে এবং টিউমার তৈরিতে বাধা দেয় এই সাইটোকাইনস।

* সদ্য মায়ের হলুদ দুধে লাইসোজাইম নামের এক বিশেষ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এনজাইম থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

* মায়ের প্রথম দুধে আছে ল্যাক্টো অ্যালবুমিন। যা মস্তিষ্কের নিউরোট্র্যান্সমিটারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়ে বুদ্ধির বিকাশ ও মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত যে ল্যাক্টো অ্যালবুমিনের টিউমার ও ক্যান্সার রোধের ক্ষমতা আছে।

* কোলোস্ট্রাম গ্রোথ ফ্যাক্টরে পূর্ণ। বাচ্চার ত্বক, পেশি, কার্টিলেজ, নার্ভ টিস্যু ও হাড় গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় গ্রোথ ফ্যাক্টর। জন্মের পর প্রথম দু’তিন দিন এই দুধ পান করালে প্রায় জীবনভর সুরক্ষিত থাকবে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম।

প্রোটিন রিচ পলিপেপটাইড বা পিআরপিএস সমৃদ্ধ কোলোস্ট্রাম নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ই-কোলাই, রোটা ভাইরাস, সিগেলার মত মারাত্মক সংক্রমণের হাত থেকে এটি আজীবন সুরক্ষা দিতে পারে। এই প্রসঙ্গে একটা কথা জেনে রাখা ভাল যে, উন্নয়নশীল দেশে রোটা ভাইরাসের সংক্রমণে অজস্র নবজাত শিশুর মৃত্যু হয়। কোলোস্ট্রাম খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে অনায়াসে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায়।

আর এই কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্ট ফিডিং অ্যাকশন জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই মায়ের দুধ খাওয়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

সুশৃঙ্খলভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছে ডিএমপি

সদ্য মায়ের প্রথম দুধ শিশুর জীবনভর সুরক্ষা প্রায় সুনিশ্চিত করে

Update Time : ১১:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে সবাইকে, এমনকি সদ্যোজাতদেরও। করোনাভাইরাস ছাড়াও জীবন ভর নানান অসুখ বিসুখ আটকাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলতে হবে। আর এর প্রথম ধাপ জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শিশুকে মায়ের হলুদ খাওয়ানো। বিশেষজ্ঞদের মতে সদ্য মায়ের হলুদ দুধ নবজাতকের জন্য প্রথম ভ্যাকসিন।

করোনার মহামারীর সময় প্রত্যেক নবজাতকের মাকে মনে রাখতে হবে, শিশুকে স্তন্যপান করানোর ব্যাপারে কোনও রকম আপস চলবে না। বিশেষ করে শিশু ভূমিষ্ঠ হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই মায়ের যে হালকা হলদেটে দুধ নিঃসৃত হয়, সেই দুধ থেকে কোন ক্রমেই বঞ্চিত করা যাবে না শিশুকে।

এতে আছে নানা ধরনের অ্যান্টিবডি যা নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ভিত মজবুত করতে সাহায্য করে। যারা মা হতে চলেছেন এবং সদ্য মা হয়েছেন তাদের মনে রাখা দরকার, যতই শারীরিক কষ্ট হোক না কেন, বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে স্তন্যপান করানো উচিত।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুকে স্তন্যপান করালে ভবিষ্যতে নানা অসুখ বিসুখকে দূরে রাখার পাশাপাশি বুদ্ধির বিকাশ হয় দ্রুত। প্রসবের ঠিক পর পরেই মায়ের স্তন বৃন্ত থেকে ঈষৎ হলদেটে ঘন দুধ নিঃসৃত হয়। এই দুধকে বলা হয় কোলোস্ট্রাম। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা একে বলে থাকে ‘তরল সোনা’।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রসবের পর ম্যামারি গ্ল্যান্ডে জমে থাকা ঘন এই কোলোস্ট্রাম স্বাভাবিক মাতৃদুগ্ধের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ ঘন। মাত্র ২ থেকে ৩ দিন এই দুধ নিঃসৃত হয়। কোলোস্ট্রাম নিঃসরণের পরিমাণ অত্যন্ত কম, সারা দিনে মাত্র কয়েক চামচ। তবে তা নিয়ে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। কারণ নবজাতের পাকস্থলীর আকারও একটা মার্বেল গুলির মত। তাই প্রথম দু’তিন দিন যৎসামান্য এই অমৃতেই সে ভরপেট হয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমায়।

কোলোস্ট্রামে ‘আইজিএ’ নামক এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি থাকে যা নবজাতকের মুখগহ্বর, গলা, থেকে শুরু করে ফুসফুস ও অন্ত্র প্রতিটি অঙ্গের রক্ষাকারী আবরণ মিউকাস মেমব্রেনকে সুরক্ষিত রাখে। মিউকাস স্তর মজবুত হলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। যদি কোন ইনফেকশন হয় তা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌছতেও দেয় না। বিশেষ করে প্রিটার্ম বেবি অর্থাৎ সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে যে শিশু, তাদের শ্বাসনালী ও ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রসূতির যতই শারীরিক কষ্ট থাকুক না কেন, বাচ্চার ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখতে জন্মের পর দ্রুত কোলোস্ট্রাম পান করাতেই হবে। শুধুই যে ‘আইজিএ’ অ্যান্টিবডি আছে তা নয়, সদ্য মায়ের প্রথম দুধে আছে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান যা শিশুকে দিলে তার জীবনভর সুরক্ষা প্রায় সুনিশ্চিত। মায়ের এই দুধ পান করলে শিশুকে জন্ডিসের সমস্যায় ভুগতে হয় না। একই সঙ্গে মায়ের শরীরের সব হরমোন নিঃসরণ দ্রুত নির্দিষ্ট ছন্দে ফিরে আসে।

কোলোস্ট্রাম নিয়ে নানান গবেষণায় এর অজস্র গুণাগুণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেগুলো এবার জেনে নেওয়া যাক।

* কোলোস্ট্রামে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন সাইটোকাইনস থাকে। শরীরের প্রতিটি কোষের গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় এই সাইটোকাইনস। একই সঙ্গে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, পেন রিলিভিং অর্থাৎ ব্যথা কমাতে এবং টিউমার তৈরিতে বাধা দেয় এই সাইটোকাইনস।

* সদ্য মায়ের হলুদ দুধে লাইসোজাইম নামের এক বিশেষ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এনজাইম থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

* মায়ের প্রথম দুধে আছে ল্যাক্টো অ্যালবুমিন। যা মস্তিষ্কের নিউরোট্র্যান্সমিটারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়ে বুদ্ধির বিকাশ ও মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত যে ল্যাক্টো অ্যালবুমিনের টিউমার ও ক্যান্সার রোধের ক্ষমতা আছে।

* কোলোস্ট্রাম গ্রোথ ফ্যাক্টরে পূর্ণ। বাচ্চার ত্বক, পেশি, কার্টিলেজ, নার্ভ টিস্যু ও হাড় গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় গ্রোথ ফ্যাক্টর। জন্মের পর প্রথম দু’তিন দিন এই দুধ পান করালে প্রায় জীবনভর সুরক্ষিত থাকবে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম।

প্রোটিন রিচ পলিপেপটাইড বা পিআরপিএস সমৃদ্ধ কোলোস্ট্রাম নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ই-কোলাই, রোটা ভাইরাস, সিগেলার মত মারাত্মক সংক্রমণের হাত থেকে এটি আজীবন সুরক্ষা দিতে পারে। এই প্রসঙ্গে একটা কথা জেনে রাখা ভাল যে, উন্নয়নশীল দেশে রোটা ভাইরাসের সংক্রমণে অজস্র নবজাত শিশুর মৃত্যু হয়। কোলোস্ট্রাম খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে অনায়াসে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায়।

আর এই কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্ট ফিডিং অ্যাকশন জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই মায়ের দুধ খাওয়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন।