মহীতোষ গায়েন, মফস্বল সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ:
সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে-বাইরে’ চলচ্চিত্রের ‘বিমলা’ স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত আর নেই। ৭১ বছরের স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। ডায়ালাইসিস চলছিল। ডায়াবেটিসের সমস্যাও ছিল। ক্রনিক রেনাল ফেলিওর হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর।
সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’ থেকে শুরু করে হাল আমলের ‘বেলাশেষে’ সিনেমায় অসামান্য এই অভিনেত্রী তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
স্বাতীলেখার কন্যা সোহিনী সেনগুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মা কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। তার ডায়ালাইসিস চলছিল। ডায়াবেটিসের সমস্যাও ছিল। ২১ দিন ধরে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন স্বাতীলেখা। বুধবার তার রেনাল ফেলিওর হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়।’
তার মৃত্যুতে দুই বাংলার নাটক ও সিনেমা জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
নাট্যব্যক্তিত্ব দেব শংকর হালদার বলেন, ‘আমি যার হাত ধরে নাটক শিখেছি তিনি স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। তিনি বাংলা নাটকের টেক্সটবুক। তার মৃত্যুতে অভিনয় জগতের অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হল।’
নাট্যব্যক্তিত্ব স্বাতীলেখা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন ১৯৮৪ সালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভিক্টর বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ‘ঘরে-বাইরে’ ফিল্মে বিমলার চরিত্রে তার অভিনয় এখনও আলোচিত। এরপর দীর্ঘদিন চলচ্চিত্রে আর দেখা যায়নি তাকে।
দীর্ঘ ৩১ বছর পর সৌমিত্র-স্বাতীলেখা জুটিকে দেখা যায় ‘বেলা শেষে’ সিনেমায়। সৌমিত্র স্বাতীলেখা রসায়নে মুগ্ধ আপামর বাঙালি দর্শক।
বেলা শেষে সিনেমার সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে সৌমিত্র স্বাতীলেখাকে নিয়ে আবার শিবপ্রসাদ নন্দিতা ‘বেলা শুরু’ চলচ্চিত্র তৈরি করেন। কিন্তু ছবি মুক্তির আগেই এই দুই অভিনেতার জীবনাবসান হয়। গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।