Dhaka ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সতর্ক দৃষ্টি থাকবে যাতে বিতর্কিত কোন ব্যক্তির অনুপ্রবেশ না ঘটে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১১৮ Time View

করোনা সংকট সামলে সাংগঠনিক কাজে আরও গতি আনতে চায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে প্রথমেই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, এ কাজে সতর্ক দৃষ্টি থাকবে যাতে বিতর্কিত কোন ব্যক্তির অনুপ্রবেশ না ঘটে।

গত বছরের ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে নবীন-প্রবীনের সমাবেশ ঘটিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রেওয়াজ অনুযায়ী জাতীয় সম্মেলনের আগে জেলা, উপজেলা ও শাখা কমিটি গঠন করার কথা। কিন্তু নানা কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার অধিকাংশ কমিটি।

কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে ৬টি পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা পড়েছে দফতরে। আর ২৯টি পুর্ণাঙ্গ কমিটি কাজ করছে সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই। তবে মহামারি করোনা, ঘুর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমে ভাটা পড়ে।

সাম্প্রতিক দুর্যোগ সামলে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেয়াদোর্ত্তীর্ণ বাকী কমিটিগুলোর নেতৃত্বের তালিকা জমা দেবার তাগিদ আছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

এ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জানান, আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেসব জেলায় কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়নি তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হাতে আসবে। এরপরে যাচাই-বাছাই করে আমাদের সভানেত্রী সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী এটা অনুমোদন দিবেন।

ইতিমধ্যেই দলঘেঁষা কিছু বিতর্কিত কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে দলের অবস্থান অত্যন্ত পরিস্কার, কারণ কমিটি অনৈতিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দল। এক্ষেত্রে সতর্ক যাচাই-বাছাইয়ের পর কমিটি গঠিত হবে বলে জানান কেন্দীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, যেহেতু আমরা ভোটের রাজনীতি করি সুতরাং আজকে যে বিএনপিকে ভোট দিয়েছে কালকে সে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতেই পারে। আওয়ামী লীগের নীতি, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে। কিন্তু সে যদি সামাজিকভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কোন ক্ষতিকারক মানুষ হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে তো আমরা ব্যবস্থা নেবই। তাদের ব্যাপারে নিহ্নিতকরণ কাজটি শেষ হলেই আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব।

অনুপ্রবেশের ঘটনা রোধ করে সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

সতর্ক দৃষ্টি থাকবে যাতে বিতর্কিত কোন ব্যক্তির অনুপ্রবেশ না ঘটে

Update Time : ০৭:৩৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনা সংকট সামলে সাংগঠনিক কাজে আরও গতি আনতে চায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে প্রথমেই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, এ কাজে সতর্ক দৃষ্টি থাকবে যাতে বিতর্কিত কোন ব্যক্তির অনুপ্রবেশ না ঘটে।

গত বছরের ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে নবীন-প্রবীনের সমাবেশ ঘটিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রেওয়াজ অনুযায়ী জাতীয় সম্মেলনের আগে জেলা, উপজেলা ও শাখা কমিটি গঠন করার কথা। কিন্তু নানা কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার অধিকাংশ কমিটি।

কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে ৬টি পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা পড়েছে দফতরে। আর ২৯টি পুর্ণাঙ্গ কমিটি কাজ করছে সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই। তবে মহামারি করোনা, ঘুর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমে ভাটা পড়ে।

সাম্প্রতিক দুর্যোগ সামলে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মেয়াদোর্ত্তীর্ণ বাকী কমিটিগুলোর নেতৃত্বের তালিকা জমা দেবার তাগিদ আছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

এ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জানান, আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেসব জেলায় কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়নি তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হাতে আসবে। এরপরে যাচাই-বাছাই করে আমাদের সভানেত্রী সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী এটা অনুমোদন দিবেন।

ইতিমধ্যেই দলঘেঁষা কিছু বিতর্কিত কিংবা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে দলের অবস্থান অত্যন্ত পরিস্কার, কারণ কমিটি অনৈতিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দল। এক্ষেত্রে সতর্ক যাচাই-বাছাইয়ের পর কমিটি গঠিত হবে বলে জানান কেন্দীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, যেহেতু আমরা ভোটের রাজনীতি করি সুতরাং আজকে যে বিএনপিকে ভোট দিয়েছে কালকে সে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতেই পারে। আওয়ামী লীগের নীতি, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে। কিন্তু সে যদি সামাজিকভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কোন ক্ষতিকারক মানুষ হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে তো আমরা ব্যবস্থা নেবই। তাদের ব্যাপারে নিহ্নিতকরণ কাজটি শেষ হলেই আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব।

অনুপ্রবেশের ঘটনা রোধ করে সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।