রাজীব দত্ত, কলকাতা মহানগর প্রতিনিধি :
ইতিমধ্যে ৯:১৫ নাগাদ উড়িষ্যার বালেশ্বর ধামরা তীরবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়েছে ইয়াশ। বিশাল ঝড়ের দাপটে তছনছ হচ্ছে এই এলাকাগুলি।
ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার অব্দি এর গতিবিধি। পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র কেন্দ্রিক অঞ্চল দীঘা, মন্দারমনি, শংকরপুর, এলাকাগুলিতে বিশাল জলরাশি গ্রামের মধ্যে ঢুকে গেছে। উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা,পুলিশ এবং এনডিআরএফ এর কর্মকর্তা এবং কর্মীরা । এছাড়াও বকখালি, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, ফ্রেজারগঞ্জ, স্থানগুলো বিশাল ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চলেছে। স্থানীয় মানুষের আতঙ্ক এবং ক্রমশ বেড়ে চলেছে, সেইসঙ্গে ভেসে গেছে বেশ কিছু গবাদি পশু এবং বাড়ির আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস । নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা যখন-তখন রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় এলাকার মানুষ। নবান্ন কন্ট্রোলরুমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল রাত থেকেই তাঁর সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মকাণ্ডে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এগিয়ে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন ইতিমধ্যে ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, বেশকিছু নদীর ভাঙ্গনের দৃশ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কুড়ি হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কলকাতা শহর অঞ্চলে ও ভারী বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ার প্রভাব চলছে। তবে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানিয়েছে কলকাতা উত্তর ২৪ পরগনা এই সমস্ত এলাকায় সেইভাবে ইয়াসের প্রভাব পড়বে না। এবং সেইসঙ্গে সকল মানুষকে জানানো হচ্ছে আতঙ্কিত হবেন না, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদ স্থানে সুরক্ষিত থাকবেন।