Dhaka ১০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০২০
  • ৭৮ Time View

ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। সে লক্ষ্যেঐ এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খবর বিবিসি’র। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও ট্রাম্প এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের আশা এই বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে। চুক্তির আওতায় ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিশাল অঞ্চলে বসতি স্থাপন স্থগিত করবে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর নেতানিয়াহু টুইটারে দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি কূটনৈতিক জয়। তিনি আরও বলেছেন, উত্তেজনা নিরসনে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনও আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবিলায় ইসরায়েলের সঙ্গে এসব দেশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে

Update Time : ০২:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০২০

ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সমঝোতায় পৌঁছেছে। সে লক্ষ্যেঐ এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খবর বিবিসি’র। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ও ট্রাম্প এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের আশা এই বিরাট ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রগতিকে এগিয়ে নেবে। চুক্তির আওতায় ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিশাল অঞ্চলে বসতি স্থাপন স্থগিত করবে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর নেতানিয়াহু টুইটারে দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল ওতাইবা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি ছিল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি কূটনৈতিক জয়। তিনি আরও বলেছেন, উত্তেজনা নিরসনে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আরব-ইসরায়েল সম্পর্কের অগ্রগতির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার ঘোষণার পর ইসরায়েল ও আরবের মধ্যে এটি তৃতীয় চুক্তি। এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে ও জর্ডান ১৯৯৪ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত উপসাগরীয় কোনও আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব মোকাবিলায় ইসরায়েলের সঙ্গে এসব দেশের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রয়েছে।