সংবিধান দিবস উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর চল্লিশ টাকা মূল্যমানের একটি স্যুভেনির সিট, দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বুধবার স্যুভেনির সিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন। এই উপলক্ষে বিশেষ সীলমোহর ব্যবহার করা হয়।
এদিকে, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন।
মোস্তাফা জব্বার বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, আজ ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৭২ সালের সংবিধান কেবল বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বে অন্যতম সেরা সংবিধান। একটি দেশ রক্তাক্ত যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করার পর, ধ্বংস্তুপে বাস করে এতো দ্রুত একটি সংবিধান দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, এই সংবিধানই বিশ্বে একমাত্র রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করেছে। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর সংবিধান বিলটি গণপরিষদে উপস্থাপিত হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপরিষদে নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান নিয়ে আলোচনা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, গণপরিষদে সংবিধানের ওপর বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মূল চরিত্র বর্ণিত রয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখা বিধৃত আছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য ৯ মাসে একটি সংবিধান প্রণয়ন বঙ্গবন্ধুর মত অবিসংবাদিত রাষ্ট্রনায়কের পক্ষেই সম্ভব ছিলো। সেদিক থেকে সংবিধান দিবস জাতীয় জীবনের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, স্যুভেনির সিট ও উদ্বোধনী খাম আজ বুধবার ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবতবর্তীতে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্যুভেনির সিট ও উদ্বোধনী খাম এবং ডাটাকার্ড বিক্রি করা হবে।
উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সীলমোহরেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
সূত্র : বাসস