ক্রীড়া ডেস্ক :

প্রথম তিনটি ম্যাচে হেরে সিরিজি খুইয়েছে আগেই। চতুর্থ ম্যাচটি জিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়া থেকে বাঁচলেও জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলো না অস্ট্রেলিয়া।

ক্যারিবীয়দের কাছে হেরে গেল পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও। যাতে ৪-১ ব্যবধানের হার দেখতে হলো ফিঞ্চের দলকে।

বাংলাদেশ সময় আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় গ্রস আইলেটের ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিয়মিত ওপেনার লেন্ডল সিমন্স একাদশে থাকলেও তার জায়গায় আন্দ্রে ফ্লেচারকে নিয়ে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন এভিন লুইস।

শুরু থেকেই অজি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ক্যারিবীয় দুই ওপেনার। ছক্কা-চার হাঁকিয়ে মাত্র চার ওভারেই স্কোরে জড়ো করেন ৪০ রান। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ফ্লেচার জাম্পার শিকার হলে ওই রানেই প্রথম উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ফেরার আগে একটি মাত্র ছক্কায় ১৬ বলে ১২ রান করে ব্যর্থতার পরিচয় দেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

তবে ক্রিজে এসে জাম্পার ওই ওভারেই দুটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ২০ রান তুলে নেন দ্য ইউনিভার্সাল বস ক্রিস গেইল। মাত্র পাঁচ বলে ২০ রান করা গেইলকে পরের ওভারে কোনও সুযোগ না দিয়ে নিজেও তুলে নেন আরও ২০টি রান। যাতে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ১টি উইকেট হারিয়ে টোর্ণেডো গতিতে ৮১টি রান তুলে ফেলে উইন্ডিজ।

যদিও লুইস-গেইলের এই তাণ্ডব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি অজিদের হয়ে মাত্র ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা মিচেল সুইপসন। ৭ম ওভারে আক্রমণে এসেই ২৮ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার তুলে নেন বিগ বস গেইলকে। যাতে সমাপ্তি ঘটে মাত্র ১৩ মিনিট স্থায়ী ৩০০ স্ট্রাইকরেটের গেইল ঝড় (৭ বলে ২১)। যাতে ৮২ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে স্বাগতিকদের।

এ প্রান্তে গেইল ঝড় থেমে গেলেও অন্যপ্রান্তে মাত্র ২৩ বলেই ফিফটি আদায় করে আরও রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন লুইস। যদিও একাদশ ওভারের মাথায় তাকে ক্রিজ ছাড়া করেন মিচেল মার্শ। ফেরার আগে ৯টি ছক্কা আর চারটি চারের মারে ৭৯ রান করেন লুইস, মাত্র ৩৪ বলে। সেইসঙ্গে ১২৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।

পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। আগের চার ম্যাচে ওপেনিংয়ে ঝড় তুলে ১৪৪ রান করা লেন্ডল সিমন্স এদিন চার নম্বরে নেমে করেন ২৫ বলে মাত্র ২১ রান। মিডল অর্ডারে রীতিমত ব্যর্থ হন আগের ম্যাচগুলোতে ভালো ভূমিকা রাখা রাসেল (১), অ্যালেন (১) ও ডোয়াইন ব্রাভো (৫)।

তবে শেষ দিকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের ১৮ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস ও হেইডেন ওয়ালশের ৮ বলে ১২ রানের কল্যাণে ১৯৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৮টি উইকেট হারিয়ে। অজিদের পক্ষে সফল বোলার হিসেবে ৩টি উইকেট নেন অ্যান্ড্রু টাই, এছাড়া ২টি করে উইকেট পান জাম্পা ও মার্শ।

২শ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবীয়দের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যেখান থেকে আর ছিনা টান করে উঠে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে দলপতি ফিঞ্চের ব্যাট থেকে। দলের পক্ষে কেউই বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৮৩ রান তুলেই থামে অজিদের ইনিংস।

সফরকারীদের পড়া ৯টি উইকেটের দুটিই হয় রান আউট। বাকী ৭টির মধ্যে ৩টি করে তুলে নেন শেলডন কোট্রেল ও আন্দ্রে রাসেল। যাতে ১৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উইন্ডিজ। ম্যাচ সেরা হন এভিন লুইস। তবে সিরিজ সেরা হয়েছেন আজকের ১টিসহ ১১.৬৬ গড়ে পাঁচ ম্যাচে মোট ১২টি উইকেট নেয়া স্পিনার হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে