ক্রীড়া ডেস্ক:

সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬ উইকেটে ১৩২রানে চতুর্থ দিন শুরু করা বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৮৬ রানে।

 সফরকারিদের দেয়া ১৩ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করে জয় তুলে নেয় ক্যারিবিয়রা।

বৃষ্টির কারণে প্রথম দুই সেশন খেলা মাঠে না গড়ালেও হার এড়াতে পারেনি সফরকারিরা। নুরুল হাসান সোহানের লড়াকু ৬০ রান কেবল ইনিংস হারের লজ্জা থেকে বাঁচায় সাকিবদের। এই জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে বাংলাদেশকে হোইটওয়াশ করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

মুমিনুলের অধীনে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর, তৃতীয় বারের মত বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পায় সাকিব আল হাসান। তার নেতৃত্বে নতুন শুরুর প্রত্যাশা নিয়ে ক্যারিবিয় দীপপুঞ্জে পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। তবে অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আনলেও টেস্ট ফরম্যাটে টাইগারদের ব্যর্থতা চলমানই রয়ে গেলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াসের পাশাপাশি সাদা পোশাকের ক্রিকেটে শততম হারের স্বাদ গ্রহণ করলো টিম টাইগার্স।

অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টে তিন দিনেই পরাজিত হয়েছিল সাকিব বাহিনী। সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বৃষ্টির কল্যাণে সেটি পৌছায় চতুর্থ দিনে। যদিও চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের হয়ে খেলাটা চালিয়েছিলো এই বৃষ্টিই। যার প্রতিফলনে দুটি সেশন মাঠেই গড়ায়নি। তবে তৃতীয় সেশনে খেলা শুরু হতেই আবারও সেই বিপর্যয়।

কেমার রোচ, আলজারি জোসেফ ও জেডানসেলসদের পেস আক্রমণে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৮৬ রানে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা নুরুল হাসান সোহানের ৬০রানে ভর করে কোনো রকমে ইনিংস হারের লজ্জা এড়ায় বাংলাদেশ। নুরুল হাসান যোগ্য সঙ্গ না পাওয়ায় মাত্র ১২ রানের লিড পায় সফরকারিরা।

এতে ক্যারিবীয়দের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাড়ায় কেবল ১৩ রান। যা করতে স্বাগতিকদের লেগেছে মাত্র ১৭ বল। কোনো উইকেট না হারিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের দল।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে আল-আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস থামে ৪০৮ রানে।বাংলাদেশের হয়ে খালেদ আহমেদ নেয় ৫উইকেট। এ জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিকরা। দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৫৩ রানের পাশাপাশি ৬ উইকেট নিয়ে কাইলমায়ার্স সিরিজ ও ম্যাচ সেরা হন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে