ক্রীড়া ডেস্ক :
দুটি করে ম্যাচ হেরে রীতিমত বাঁচা মরার লড়াইয়ে মুখোমুখি দুটি দল। যে ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪২ রান করে উইন্ডিজ।
জবাব দিতে নেমে শেষ ওভারের রোমাঞ্চ ছড়ানো নাটকীয়তায় মাত্র ৩ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। আর রোমাঞ্চকর এই জয়ে সেমির আশা জিইয়ে রাখলো উইন্ডিজ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রানের। দরকার ছিল ২/৩টি বাউন্ডারির। কিন্তু কপাল খারাপ হলে যা হয়, একটি বাউন্ডারিও বের করতে পারেননি দুই ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসাইন। চারটি বল থেকে ২টি করে রান নিতে পারলেও অন্য দুটি বল থেকে লেগবাই সূত্রে একটি রান নিতে পারেন এই দুজন।
এমনকি শেষ বলে যখন চার রানের প্রয়োজন, তখন স্নায়ুর চাপে পিষ্ট হয়ে একটি রানও নিতে পারেননি রিয়াদ। যাতে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে হেরে এবারের আসর থেকেই ছিটকে গেল বাংলাদেশ। যদিও সামনে আরও দুটি ম্যাচ আছে।
এদিন আর মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গী হননি লিটন দাস, বরং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়েই ইনিংস শুরু করেন নাঈম শেখ। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফল হননি ১৫ বছর পর ওপেনিংয়ে নামা সাকিব। আউট হন মাত্র ৯ রানেই।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে ১৯তম ওভারে আউট হন লিটন দাস। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ৩১ রান করে।
এর আগে টাইগার বোলিং তোপের মুখে ১৩ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬৪ রান তুলতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিনিময়ে হারায় এভিন লুইস, ক্রিস গেইল, শিমরন হেটমায়ার, আন্দ্রে রাসেলের উইকেট। তবে অভিষিক্ত রোস্টন চেইজ, নিকোলাস পুরান ও হোল্ডারের ব্যাটে চড়ে শেষ ৭ ওভারে ৭৭ রান যোগ করে ক্যারিবীয়রা।
যদিও পুরান ও চেইজকে পরপর দুই বলে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন শরিফুল। তবে সেটা না হলেও ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে তিনিই ইনিংসের সেরা বোলার। শরিফুল ছাড়াও ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। মাহেদি ২৭ রান দিলেও নিজের শেষ দুটি ওভারে ৩৩ রান দেয়া মুস্তাফিজের কোটা থেকে ৪৩টি রান পায় ক্যারিবীয়রা।
এদিন শুরুতেই গেইল ৪, এভিন লুইস ৬, শিমরন হেটমায়ার ৯, আন্দ্রে রাসেল শূন্য রানে আউট হন। তবে দুইবার জীবন পেয়ে ৩৯ রান করে অভিষিক্ত রোস্টন চেইজ আর মাত্র ২২ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান।
এই দুজনকে হারানোর পর শেষ দিকেও ঝড় তোলে উইন্ডিজ। মাত্র ৫ বলে দুই ছয়ে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জেসন হোল্ডার। তাঁর সঙ্গী হিসেবে পোলার্ড দ্বিতীয়বার নেমে অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ১৪ করে। যাতে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের স্কোর গড়ে ক্যারিবীয়রা।