শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে নিজ দল কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার জেরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই দেশটিতে এই ঘটনা ঘটলো।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দলের নির্বাহী ক্ষমতাবলে ওলিকে বহিষ্কার করা হয়।

কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা বলেন, ‌‌‌‘দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ওলির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। ওলি আর দলের সদস্য নন। আমরা অনেক সহ্য করেছি, তিনি আমাদের আহ্বানে সারা দেননি। দলের নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

এর আগে গত শুক্রবারই ওলির সদস্যপদ বাতিল করার হুমকি দিয়েছিল বিরোধীপক্ষ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা বাস্তবায়ন হলো। গত ২০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী এপ্রিল এবং মে মাসে ভোটের আহ্বানও জানিয়েছেন ওলি।

ওলির বিরুদ্ধে জোট নেতাদের অভিযোগ ছিল- তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চেয়েছিলেন। চুক্তি মতো এনসিপি জোটের নেতা নেতা প্রচণ্ডকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাননি। এর ফলে নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে তীব্র হয় মতবিরোধ। এই বিরোধিতা চলার মাঝেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিলেন বহিষ্কৃত ওলি। তাঁর চাপে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।

তিন বছর আগে নির্বাচনে বিপুল জয়লাভ করে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি ও মাওবাদীদের জোট এনসিপি। প্রধানমন্ত্রী হন ওলি। তবে চুক্তি ছিল পাঁচ বছরের মেয়াদে আড়াই বছর করে দুই দলের প্রধানমন্ত্রী হবে পর্যায়ক্রমে। সেই শর্ত উপেক্ষা করে মাওবাদী নেতা প্রচণ্ডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন কেপি ওলি।

এ ছাড়া করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীগোষ্ঠী। একইসঙ্গে ভারতের সখ্যতা উপেক্ষা করে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি নিয়েও বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ওলি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে