শুধু টেস্টই নয়, ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই খেলতে চান পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। অনেকেরই ধারণা ছিল টেস্ট ক্রিকেটকেই তিনি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে তিন ফর্মেটই তার কাছে গুরুত্বপূর্ন বলে জানান মুস্তাফিজ।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্কিল ট্রেনিং সেশন শেষে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আমি তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে খেলতে চাই এবং বর্তমানে আমি ফিটনেস ও অন্যান্য স্কিল নিয়ে কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোলিং দক্ষতা বাড়াতে যা করা প্রয়োজন, তা করার চেষ্টা করছি এবং সব ফরম্যাটে নিয়মিত করতে অন্যরাও সহায়তা করছে।’

টেস্ট ক্রিকেটে ভালো বোলারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, বলকে ভেতরে আনা। পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই যা করতে পারেননি তিনি। মুস্তাফিজের প্রধান অস্ত্র হলো- কাটার ও স্লোয়ার, যা দিয়ে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে সাফল্য অর্জন করেছিলেন ফিজ।

মূলত তার কাটার ও স্লোয়ারের কারণে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্তভাবে নিজের অভিষেক ঘটান মুস্তাফিজ। ভারতের বিপক্ষে প্রথম দু’ম্যাচে ১১টি উইকেট নেন তিনি। ওই দু’টি ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে প্রথমবারের মত ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় টিম টাইগার্স।

অবশ্য সিরিজের শেষ ম্যাচেও ২টি উইকেট নিয়ে অভিষেক সিরিজে নিজের শিকার সংখ্যাকে ১৩তে নিয়ে যান মুস্তাফিজ।

টি-২০ ক্রিকেটেও নিজেকে প্রমাণ করেন দ্য ফিজ। ফলে ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলারে পরিণত হন তিনি। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট অঙ্গনে সাফল্যের ক্ষেত্রে পারদর্শী নন মুস্তাফিজ।

ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইনসুইঙ্গারেই বেশি শক্তিশালী মুস্তাফিজ। এমনটাই মুস্তাফিজ জানেন এবং তিনি জানান, বোলিং কোচ ওটিস গিবসনকে নিয়ে সেই বিশেষ দিকটি নিয়ে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের আগে কিভাবে বলকে ভেতরে আনতে হবে, সে বিষয়ে আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি এখনো এটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং আল্লাহর রহমতে এটি ভালোভাবে চলছে। কিন্তু আমি জানি, এটি করার জন্য পারদর্শী হতে আমার অনেক কাজ করা দরকার।’

বলকে ভেতরে আনার পাশাপাশি, বোলিংয়ের অন্যান্য দিক নিয়েও কাজ করছেন মুস্তাফিজ। তিনি বলেন, ‘একমাস পাঁচদিন হয়ে গেল আমি ঢাকা এসেছি। প্রথমে আমি সংক্ষিপ্ত রান-আপে বল করেছি। দুই কি তিন ধাপে বল করেছি। আমি বাড়িতেও এটি করেছি। কিন্তু ঢাকায় এসে প্রথম থেকেই সব শুরু করেছি। শুরুতে আমি জগিং ও জিমের দিকে মনোনিবেশ করেছি এবং পরে অন্যান্য বোলারদের সাথে ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং শুরু করি। তবে সবকিছু ভালো চলছিলো।’

তিনি জানান, শুরুতে বোলিং ও ফিটনেস অনেক কঠিন ছিলো। তবে যতদিন যাচ্ছে, সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। মুস্তাফিজ বলেন, ‘দলগত অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ঘরে কাজ করেছি, তবে সেটি ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু আমি যখন স্টেডিয়ামে কাজ শুরু করেছি, তখন কঠিন ছিলো, কিন্তু এখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে