এক বছরের মধ্যে করোনাভাইরাস রূপ বদলে শিশুদের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্বাসতন্ত্র।
তাই, শিশুদের হালকা জ্বর, ডায়রিয়া, পেটের সমস্যা, বমিসহ কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। শিশুদের জন্য টিকা আবিষ্কার না হওয়ায় তাদের সুরক্ষিত রাখাই প্রধান কাজ।
করোনাভাইরাস মহামারীর প্রথম দিকে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার ছিলো ছিল সামান্য। দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাবে এ হার বেড়েছে। এবার শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ‘মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামাটরি সিন্ড্রোম ইন চিলড্রেন’- এমআইএসসি’তে। যেখানে উপসর্গ খুবই সামান্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুদের ক্ষেত্রেও শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া ত্বকের সমস্যা এবং মুখে ঘা হচ্ছে। শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণ লক্ষণ হলো কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, কাশি, দম আটকে আসা, ডায়ারিয়া, পেটে সমস্যাসহ মুখের স্বাদ কমে যাওয়া।
করোনা আক্রান্ত শিশুদের অক্সিজেন স্যাচুরেশনের উপর তীক্ষè নজর রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। এই মাত্রা ৯৪ এর নীচে নামলেই কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে।
এখনও পর্যন্ত আবিস্কৃত করোনা ভাইরাসের কোনো টিকাই শিশুদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে, ভারতের বায়োটেক, ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার শিশুদের জন্য তৈরি টিকা এখন ট্রায়েলের অপেক্ষায় রয়েছে।
সূত্র : বৈশাখী টিভি