আপনি কী একজন শুদ্ধ মানুষ হতে চান? তাহলে পথ চলার ক্ষেত্রে কিছু শুদ্ধাচার মেনে চলুন। আর তা যদি আপনি পারেন, তবে দেখবেন চমৎকার এক জগতে প্রবেশ করেছেন। শুদ্ধ হওয়া বিষয়টি এমন নয় যে এটা আপনা আপনি হয়ে যায়। শুদ্ধ হওয়ার জন্যে আপনাকে এটা চর্চ্চা করতে হবে। এটা অনেকটা ভালো সঙ্গীত শিল্পী বা ক্রীড়াবিদ হয়ে উঠার মতোই। সাফল্যের জন্যে তাদেরকে যেমন চর্চ্চা করতে হয়, শুদ্ধা মানুষ হওয়ার ব্যাাপরেও আপনাকে সেটা করতে হবে।
শিক্ষার্থী হিসেবে শ্রেণিকক্ষের শুদ্ধাচার কেমন হবে তা জানবো আজ-
– ক্লাসে নিয়মিত ও সময়মতো আসুন।
– ক্লাসে শিক্ষক প্রবেশ করলে দাঁড়িয়ে সালাম দিন। শিক্ষক আগে এসে থাকলে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করুন।
– শিক্ষকের সামনে চেয়ারে/বেঞ্চে গা এলিয়ে নয়, সোজা হয়ে বসুন।
– উদাসী হয়ে থাকবেন না, মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকের কথা শুনুন।
– ভিন্নমত থাকলেও ক্লাসে বিতর্কে জড়াবেন না। অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে শিক্ষককে বিব্রত করবেন না।
– ক্লাস চলাকালে ইশারায় ডাকাডাকি করা, ফিসফাস করে বা জোরে জোরে নিজেরা কথা বলা, কাগজ রুমাল বা কোনোকিছু ছোড়াছুড়ি করা থেকে বিরত থাকুন।
– ক্লাসে অন্য বই খুলে পড়া/দেখা কিংবা খাতার নিচে গল্পের বই লুকিয়ে রেখে পড়া, আড়ালে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকা, চুইংগাম বা মুখে কোনো খাবার চিবানো থেকে বিরত থাকুন।
– শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে হলে একজন একজন করে বলুন, কয়েকজন একসঙ্গে নয়। কোনো প্রশ্ন থাকলে বা কিছু বলার আগে হাত তুলে দৃষ্টি আকর্ষণ করুন। শিক্ষক অনুমতি দিলে তারপর বলুন।
– ক্লাস চলাকালে কিছু সময়ের জন্যে শিক্ষক বাইরে গেলেও শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করুন। কথা বলা, আসন ছেড়ে ওঠাসহ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করা থেকে বিরত থাকুন।
– নতুন শিক্ষককে তার প্রথম ক্লাস থেকেই আন্তরিকভাবে গ্রহণ করুন। আগের কোনো শিক্ষকের সাথে তুলনা করবেন না। তাকে নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়ার সময় দিন।
– শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে তার চেয়ার বা টেবিলে বসা থেকে বিরত থাকুন। নিজেদের হাইবেঞ্চেও বসবেন না।