শিক্ষারত্ন বর্জিত সুন্দরবনের সেই শিক্ষক
মহীতোষ গায়েন
সেই শিক্ষক,স্কুল শিক্ষকতা স্বেচ্ছায় ছেড়ে
বাদাবনে শিক্ষার প্রসারে ও সমাজ উন্নয়নে
নিজেকে নিয়োজিত করলেন,সম্বল সামান্য
জমি,আপাদমস্তক বামপন্থী,সংসার-সন্ন্যাসী।
স্ত্রী যমুনাবালা কোনদিন সুখের মুখ দেখেননি
কোথাও যাননি,ভালো কিছু পরা,খাওয়া
হয়নি,শুধু ছেলে মেয়ে মানুষ করা,গাছ,ফুল,
লতাপাতা দেখা, উপরতলার ভন্ডামির আঁচ গায়ে লাগেনি।
বহু মানুষের ভিখিরি অপবাদ ঘোচালেও নিজেকে মাঝে মাঝে সেই অপবাদ শুনতে হয়েছে নিদারুণ,সমাজসেবা,জীবনে ৫২ স্কুল প্রতিষ্ঠা তথা শিক্ষাপ্রসারে ছুটেছেন গ্রাম থেকে গ্রাম,শহর,নগর,গঞ্জ।
কোন সরকারি পুরস্কার বা খেতাব পাননি,
শিক্ষার প্রসারের জন্য শুধু এক বেসরকারি সংস্থা দিয়েছে সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর পুরস্কার-২০০৩,অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বা আমলা,নেতারা আসার সময় পাননি।
৭২ এর বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই-এর টিকিটে লড়ে সিপিএমের কাছে একসহস্র ভোটে হারলে পুরস্কার পাবেন কী করে?জোর যার মুলুক তার,বছর যায় বছর আসে,দল যায় দল আসে অধরা থাকে অবদান।
মানুষটা বড় বোকা ছিলেন,মাথা উঁচু ছিল,সততা ছিল অটল,গরীবের দু:খে ব্যথী,
মানবিক,দল-লবি করতে বা ধরতে
জানতেন না,তেল দিতে পারতেন না,চাষের জমি,জীবন শিক্ষা প্রসারে অর্পণ করেও তিনি আজও ঝরাপাতা,বাসি ফুল।
সরকার যায়, সরকার আসে,শিক্ষার প্রসারের জন্য সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে ২৪ পরগনার এই ব্রাত্য শিক্ষক, আদর্শ শিক্ষাব্রতী বিনোদ বিহারী গায়েন আজ মহাকালের বঞ্চিত মহা শিক্ষাগুরু।