শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপুমনি বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাস্তবভিত্তিক ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষাকে আরো বাস্তবসম্মত করতে শিগগিরই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এখন শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার মান অর্জন করার কোন বিকল্প নেই।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে এডুকেশন রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত বেষ্ট রির্পোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ও নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জ্ঞানার্জনের জন্য শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক নির্ভরশীলতা নয়, অ্যাকটিভিটি বেইজড কার্যক্রম খুব জরুরী। বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখে পড়াশোনা করলে তা আরো বাস্তবিক হতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একসময় চ্যালেঞ্জ ছিল সবাইকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে সবাইকে শতভাগের কাছাকাছি শিক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
‘শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ এর পিছনে দৌড়াতে গিয়ে তাদের শারীরিক,মানসিক ও সামাজিক চাপও বাড়ছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পরীক্ষা ও সনদের (সার্টিফিকেট) নির্ভরতা কমিয়ে শিক্ষাকে ভীতির নয়, আনন্দদায়ক করে গড়ে তোলা হবে।’
তিনি বলেন, আমরা করোনাকালে শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করানোর মাধ্যমে শিক্ষাচর্চা চালু রাখতে পেরেছি। অনলাইন এডুকেশন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। করোনা পরবর্তী সময়ে এই পদ্ধতি শিক্ষাব্যবস্থায় একটা অন্যতম অংশ হিসেবে যুক্ত হবে। যুগের চাহিদাই তাই। এর থেকে বাইরে বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের প্রতিও নজর দিতে হবে। এটা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় কাজ করছে। শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তারা পাঠদানে আরো মনোযোগী ও দায়িত্বশীল হবেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে ইরাবের নবনির্বাচিত সভাপতি সাব্বির নেওয়াজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম ।
এবছর জুরি বোর্ডের বিচারে তিনজন ইরাব বেষ্ট রির্পোটিং অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার অর্জন করেছেন। তারা হলেন, কালের কন্ঠের শরিফুল আলম সুমন, ডেইলি সানের সোলায়মান সালমান এবং বণিক বার্তার সাইফ সুজন।