অনলাইন নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকিজি) চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ করিমের পূর্ব পরিচয় ছিল। তাদের মধ্যে গোপন সম্পর্ক ও সখ্যতাও ছিল, এমনকি তারা একসঙ্গে ডিজে পার্টিতেও যেতেন।
ডা. সাবরিনাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই বেরিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া জেকেজির উত্থানের নেপথ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বড় একটি চক্র সক্রিয় ছিল বলে জানা গেছে। ওই চক্রটির মাধ্যমেই জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমতি বাগিয়ে নেন।
এরইমধ্যে জেকেজির প্রধান নির্বাহী ও ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকেও দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ কর হচ্ছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনই এখন ডিবি পুলিশের নজরদারিতে রিমান্ডে আছেন। ইতোমধ্যে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। ওইসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গতকাল রবিবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, অন্যের সিমকার্ড ব্যবহার করে প্রতারণা করতেন সাবরিনা। সাবরিনা ও আরিফের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে গোয়েন্দারা প্রায় দুই ডজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছেন। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড, নানা তথ্যউপাত্ত ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বাস্থ্য গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এখনও কারও নাম প্রকাশ করেননি।
এদিকে করোনা পরীক্ষা জালিয়াতির অভিযোগে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার হওয়া শাহেদ করিম ১০ দিনের রিমান্ডে আছেন।