সুবীর মণ্ডল, জেলা প্রতিনিধি, বাঁকুড়া :
করোনার ও বানভাসি  বন্যার দুঃসময় কাটিয়ে  সমগ্র বাঁকুুুড়া জেলার  আপামর জনসাধারণ শারদীয়র উৎসবের জোয়ারে ভাসছে। জীবনের  সমস্ত  দুঃসময় কাটিয়ে সমগ্র বাঁকুুুড়া জেলার মানুষের স্বপ্নপূরণের ঠিকানা  দুর্গোৎসব।জেলা  শহর ও মহাকুমা  শহর ছাড়িয়ে   সমস্ত ব্লকের  বারোয়ারি পুজো গুলোর প্যাণ্ডেল আলোকিত হয়ে উঠেছে  নানান আলোর মালায়।ইতিমধ্যেই  জেলার  সেবার সম্মান  লাভ করেছে   ইন্দপুরের নবারুণ  সংঘ।
  প্রতি বছর  নবারুণ  সংঘ নজর কাড়ে জেলার  মধ্যে। বিচারক মণ্ডলীর বিচারে ইন্দপুর ব্লকের  বাংলা নবারুন সঙ্ঘ  এবছর ও জেলার সেরা। S.D.P.O khatra,O.C indpur  ওনাদের উপস্থিতি তে     ক্লাবকে পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে । এটা ইন্দপুর ব্লকের  গর্ব  ও এক আকাশ  অহংকার।
নবারুন সঙ্ঘের সভাপতি হরেকৃষ্ণ বাবু সংক্ষেপে বলেন, ” ক্লাবের  সভাপতি  হিসাবে আমি ও ক্লাবের সকল সদস্যগণ গর্বিত। আজ চতুর্থী তে Zee ২৪ ঘন্টার পক্ষ থেকে জেলার সেরা পুরস্কার পাওয়ায় জন্য “।
তিনটি মহকুমা ও 22 টি ব্লক  নিয়ে  বাঁকুড়া জেলা। খাতড়া, বিষ্ণুপুর, সদর বাঁকুড়ায়  বড় বাজেটের  পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এ-বছর  প্রতিমা নির্মাণে,আলোকসজ্জা  ও প্যাণ্ডেল  নির্মাণে অভিনবত্ব ছবি দেখতে  পাওয়া গেছে  বিভিন্ন স্থানে। খাতড়া মহকুমার শহরে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে, এদের মধ্যে  উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্র সরণী , খাতড়া ষোলআনা , রাজাপাড়া, পোদ্দার পাড়া  সার্বজনীন  অন্যতম। করোনার আবহে  স্বাস্থ্য বিধি মেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে     প্রতিটি পুজো। শারদীয় দুর্গাপূজার বিভিন্ন  মনোমুগ্ধকর  প্যণ্ডেল হয়েছে  বিষ্ণুপুর ও জেলা শহরে। চতুর্থী থেকেই  উপছে  পড়া ভিড়  লক্ষ্য করা গেছে।   সাধ্যমত চেষ্টা করছে উৎসবের  আনন্দ উপভোগ করতে  আট থেকে আশির মানুষজন। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি আমরা সবাই। তবু  উৎসবের অন্তরালে লুকিয়ে আছে এক বর্ণময় বাঙালির  ভক্তিভাবনা।
গদারহার অগ্রগতি সোসাইটি পরিচালনায় শারদীয়া এবং দীপাবলী উপলক্ষে 200জন বিশেষ ভাবে সক্ষম এবং দুস্থ ছেলে মেয়েদের নতুন জামা কাপড় উপহার শিবিরের শুভ সূচনা হল পাঁপড়া ব্রীজ মোড়ে,,, বেশ কিছু মানবদরদী মানুষের আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে,,,,, আজ  এই সংস্থার পক্ষ থেকে পাপড়া ব্রীজ মোড় সংলগ্ন এলাকার 25 জনের হাতে উপহার তুলে দিতেয়ে । দক্ষিণ বাঁকুড়ার  বেশ কয়েকটি  স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যেমন লাইফ লাইন,টিম নিঃস্বার্থ  দরিদ্র মানুষের হাতে   নতুন  জামা-কাপড়  তুলে দিয়ে দিয়ে  অনন্য নজির রেখেছে। জঙ্গলমহলের  রাইপুর, ফুলকুসমা, রানিবাঁধ,ঝিলিমিলি, হীড়বাধের  বিভিন্ন জায়গায় চলছে  পুজোর  চূড়ান্ত প্রস্তুতি। লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ মিলিত হবে  উৎসবের  আঙিনায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে